সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহর রেউই বাজার থেকে গড়িয়াডাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় তিন কি.মি.রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ৷এমনকি রাস্তাটিতে বালু ইট খঁয়ের লেশ মাত্র নেই। যানবাহন ও লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারন মানুষই নন, এলাকার কমলমতি স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী,চাকুরীজীবি, দিনমজুর, কৃষক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের রয়েছে এই রাস্তার সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ।
সিমান্তবর্তী কেড়াগাছি,তলুইগাছা, ভবানীপুর,বা বালিয়াডাঙ্গাসহ আরো ৪- ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে ইঞ্জিন চালিত যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কয়েকজন ইজিবাইক চালক এ প্রতিবেদক কে বলেন,ভাই রাস্তা দিয়ে আর চলারমত নেই।সংস্কার আর কবে হবে? তবে ইতি মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন যুবক শহিদুল ইসলাম,সিদ্দীকুুর রহমান সবুজ তাদের অর্থায়নে এলাকাবাসির সুবিধার জন্য কয়েকটি স্থানে রাস্তাটিতে আধলা ইট ও রাবিশ দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) শফিউল আজম তার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে,তিনি কলারোয়া নিইজকে বলেন,বর্ষার পরে সংস্কার হবে। অপার দিকে হাওয়ালখালী মক্তব মোড়ের রাস্তাটি ভেঙ্গে পকুরে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। যা দ্রুত সংস্কার করা না হলে এলাকাবাসির সমস্যার অন্ত নেই। এছাড়া বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার অসংখ্য জায়গা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, ভ্যান, নছিমন, সাইকেল, মোটরসাইকেল সহ অন্নান্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
স্থাণীয় কৃষকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পন্য পরিবহনের কারনে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকার পথচারীরা।
এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয় নি। ক্ষত বিক্ষত রাস্তাটি এভাবে আর কত দিন অবহেলিত থাকবে নাকি অচিরেই সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ হবে এ প্রত্যাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]