নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরে সার্কিট হাউজ মোড়ে রাস্তা বন্ধ করে ট্রাক লোড-আনলোড করায় জনগনের চলাচলের ভোগান্তি পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রায় সময় সাধারণ জনগণ যাতায়াতের চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা পৌর ৯নং ওয়ার্ডে সার্কিট হাউজ মোড়ে রসুলপুর গ্রামের মৎস্য অফিসের যাতয়াতের সরকারি রাস্তাজুড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে হাঁস, মুরগি ও মছের খাদ্য মেগা ফিডের গোডাউন ব্যবসা। এতে করে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মৎস্য অফিস কর্মকর্তা- কর্মচারি, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এই শ্যামল ফিডের দোকান ছাড়াও তার রয়েছে একাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। তার নিজের নয়ন নামে একটি জুয়েলারী দোকান রয়েছে সেখানে সে চড়াও সুদে সোনা বন্ধকের নামে সুদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে।
রসুলপুর গ্রামে নাম না বলা অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকায় যাতায়াতের এই একটি রাস্তা। এই রাস্তার পাশে সরকারি বি এ এম ভবনটি ভাড়া নিয়েছে মেগা ফিড ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার। এই ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার রাস্তা আটকিয়ে ট্রাকে ফিড লোড-আনলোড করায় আমাদের ঝুঁকির মধ্যে চলতে হয়। কেউ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
রসুলপুর গ্রামের মোটরসাইকেল মিস্ত্রি ইয়াসিন বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালিন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই প্রতিবাদের কারনে প্রশাসনের দিয়ে আমাদের হয়রানি করে এই শ্যামল। আরো বলেন তৎকালিন সময় আমাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কাছে উচ্ছেদের অভিযোগ দিয়ে শ্যামল হিন্দু বলে নাটক সাজিয়েছিল সংখ্যালঘুকে আমরা না কি উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছি।তার পর থেকে রাস্তা আটকিয়ে ট্রাক লোড -আনলোড করলে কেউ কিছু বলেনা ভয়ে।
রসুলপুর গ্রামের চায়ের দোকানদার মোস্ত বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তায় বড় বড় ট্রাক নিয়ে আসলে আমাদের রাস্তা ঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই শ্যামলের কিছু বলার সাহস নাই। কারন রসুলপুর এলাকার কিছু নেতাদের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে। সরকারি রাস্তা ক্ষতি করে ও জন সাধারন মানুষের হয়রানি করে মেগা ফিড ব্যবসা করে যাচ্ছে শ্যামল কুমার।
রসুলপুর গ্রামের হোটেল ব্যাবসায়ী রফিকুল বলেন, শ্যামলের কারনে আমরা ভোগান্তি পাচ্ছি কিন্তু আমাদের কিছুই বলার নাই। আমরা কিছু বল্লে হয়রানির শিকার হতে হবে ।
এ বিষয়ে মেগা ফিডের শ্যামল কুমারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
মৎস্য অফিসের রাস্তা বন্ধ করে ফিডের গাড়ি লোড- আনলোডের বিষয় জানার জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব জি,এম, সেলিম বলেন, আমাদের মৎস্য অফিসের যাতায়াতের রাস্তার উপর দিনের বেলা লোড- আনলোডের কাজ বন্ধ রাখতে বলছি কিন্তুু তার সেটি বন্ধ করছে না। আমি তাদের বলছি অফিস চলাকালিন সময়ে কাজ বন্ধ রেখে সন্ধার পরে লোড- আনলোড করতে। এ বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]