অভিযুক্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউ’র সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হিসাব জব্দ করা হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী ওয়াজেদ শামসুন্নাহার এবং তাদের ছেলেমেয়ের ব্যক্তিগত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরণের লেনদেন করতে পরবেন না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী) চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
৫ আগস্ট রক্তাক্ত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ‘একনায়ক’ শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। হাসিনা দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এর পর তার সময়ের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হাবিবুর রহমান পুলিশের প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ৭ আগস্ট হাবিবুর রহমানকে ডিএমপি কমিশনারের পদ থেকে বদলি করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে দমনে মারমুখী অবস্থানে থাকাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। একাধিক হত্যা মামলার আসামিও তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]