সিআইডির নজরদারিতে ৩০-৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে যারা টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি দেয় না ও টাকা পরিশোধ না করে নিজেরা আত্মসাৎ করে, এমন অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তালিকাভুক্ত ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকেই রাখা হয়েছে নজরদারিতে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সিআইডিও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করে। কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীরা টাকা দিলেও দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সিআইডির অনুসন্ধানে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে।
তালিকায় থাকা ৬০টি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে আনুমানিক কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, কত টাকা হাতিয়েছে এটি হিসাব না করে বলা যাবে না। পরবর্তীতে হিসাব করে জানানো হবে।
ডিআইজি ইমাম হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত, এমন ৩০ থেকে ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক নারী যারা ঘরে থাকে তারাও ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে সমস্যা নয়। মূল সমস্যা হলো, কিছু নামধারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন না নিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমরা শুধু তাদের নজরদারিতে রেখেছি। এ ধরনের প্রতারণা যারা করবে সিআইডি তাদের আইনের আওতায় আনবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)