সিইসি এবং অন্যান্য ইসি নিয়োগ বিল- ২০২২ সংসদে পাস


সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধানের প্রস্তাব করে বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল, ২০২২ সংশোধিত আকারে পাস হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বিলের বিধি অনুযায়ী যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করার জন্য ৬ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। প্রস্তাবে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সুপ্রিমকোর্টের আপীল বিভাগের একজন বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত দু’জন বিশিষ্ট নাগরিক, যার মধ্যে একজন নারী সদস্য হবেন। এই ৬ সদস্যের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। বিল গঠনের ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে কমিটি রাষ্ট্রপতির বরাবরে সুপারিশ প্রেরনের বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া অনুসন্ধান কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবি সংগঠনের কাছে এ বিষয়ে নামের সুপারিশ আহবান করতে পারবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
বিলে অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারের যোগ্যতার বিধান করা হয়। যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে, তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স ন্যুনতম ৫০ বছর হতে হবে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা-সরকারি বা স্বায়িত্বশাসিত বা বেসরকারি পদে অন্যুন ২০ বছরের অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের অযোগ্যতার বিষয়গুলো নির্ধারনের বিধান করা হয়। অযোগ্যতার বিষয় গুলোর মধ্যে ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে অযোগ্য বলে বিবেচিত করার বিধান করা হয়।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান, বিএনপি’র হারনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসনুল হক ইনু, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে ২৪টি সংশোধন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকী প্রস্তাব গুলো কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: বাসস

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
