সিলেট সীমান্তের জঙ্গল থেকে বিচারপতি মানিক আটক, ভিডিও ভাইরাল
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দনা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, সাবেক বিচারপতি মানিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এসময় স্থানীয় জনগণের হাতে তিনি ধরা পড়েন। পরে বিজিবি তাকে আটক করে।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেছিলেন ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর’।
জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ওদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বাদ জুমা সোনাপুর, বাঁশঘর ও ফতেহপুর গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ত্রাণ বিতরণ করেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সেলিম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোনাপুর ওয়ার্ড, বাঁশঘর ও ফতেহপুসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেছি। উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাক্রমে আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের মাধ্যমেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আমাদের সহয়তা পৌঁছে দিব।
বিচারপতি মানিকের আটকের ভিডিও ভাইরাল
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আটকের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরেছে। এরইমধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দনা এলাকা থেকে তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ সাবেক বিচারপতি মানিকের গলায় গামছা পেছিয়ে হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন। আরেকজন তার নাম জিজ্ঞেস করছেন। এ সময় বিচারপতি মানিক তার পুরো নাম বলেন এবং তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ বলে জানায়।
তিনি বলেন, আমি ১৫ হাজার টাকার কথা বলে সীমান্ত পার হতে চাচ্ছিলাম। পরে আমাকে দুই ছেলে ভারত সীমান্তে নিয়ে আমার সাথে থাকা ৬০-৭০ লাখ টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায়।
পরে কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন। তখন বিচারপতি মানিক বলেন, প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।
তখন অপর পাশ থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন। তখন মানিক উত্তর দেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।
সিলেট সীমান্তের জঙ্গল থেকে বিচারপতি মানিক আটক
বিজিবি জানায়, সাবেক বিচারপতি মানিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এসময় স্থানীয় জনগণের হাতে তিনি ধরা পড়েন। পরে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে গত ১৯ আগস্ট নোয়াখালীর আদালতে মামলা করা হয়। জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেছিলেন ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন পাকিস্তানের চর’।
জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারসহ কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মানহানিকর বক্তব্য দেন তিনি। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। তার এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই-তে প্রচারিত টকশোতে মানিক ওদ্ধত্য ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করেন, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)