রবিবার, মে ৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামলেও দুর্ভোগ চরমে

টানা ১৫ দিনের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হলেও গেল গত পাঁচদিনে রোদে তা কমতে শুরু করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে পানি কমে গেলেও দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সঙ্গে থাকতে হচ্ছে মানুষদের।

এতে করে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সরজমিনে সুনামগঞ্জের পৌর শহরের নতুনপাড়া, মরাটিলা, পশ্চিম হাজিপাড়া ও উত্তর আরপিন নগর এলাকা ঘুরে দেখা যায় এলাকাগুলোতে নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে পানির সঙ্গে আসা ড্রেনের ময়লা আবর্জনা। এছাড়া টানা পানিতে থাকায় ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।

তেঘরিয়া এলাকার আব্বাস ফয়েজ বলেন, পানি কমলেও ড্রেনের সব ময়লা রয়ে গেছে। পানির সঙ্গে টানা ৭দিন যুদ্ধ করেছি এখন আমার স্ত্রী জ্বরে আক্রান্ত ছেলে মেয়ের ডায়রিয়া।

বড়পাড়া এলাকার সিদ্দিকা বেগম বলেন, আমর বাসাত কমর পানি আছিল এই পানি নামছে ৪ দিনে, আমার ৫ বছরের ছেলেটা এই পানি নাড়ছে এখন দুইদিন ধরি জ্বর কিচ্ছু খাইতে পারে না শিশু ডাক্তার দেখাইয়া ওষুধ খাওয়াইরাম।

অন্যদিকে বন্যার পরে কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করে স্থানীয়রা বলেন, পৌরসভা খালি নামেই পৌরসভা ত্রাণ দিসে দেখছি দেরিতে এখন এলাকা জুড়িয়া দুর্গন্ধ আবর্জনা এইগুলো কে দেখতো তারা কোনো নাড়াছড়া নাই।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, ঢলের সঙ্গে আসা ময়লা আবর্জনা এখনও ভাসছে সেটা আমি নিজেও জানি, কাউন্সিলরদের নিয়ে আমরা সভা করেছি। ময়লা আবর্জনা দ্রুত সরানোর কাজ শুরু হবে। যেখানে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া প্রয়োজন, সেখানে সেটিও করা হবে।

বন্যার পর সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া খবর পাওয়া গেলেও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিত্র ভিন্ন। কর্তৃপক্ষ বলছে বন্যা পরবর্তী রোগের প্রকোপ তারা যেভাবে আসবে বলে ধারণা করেছিলেন এবার ঠিক তেমনটা হয়নি।
সর্বশেষ গেল বুধবার পর্যন্ত পেটের অসুখ নিয়ে ৪১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, বন্যার পর আমরা যেমনট ভেবে ছিলাম এমনটা হয়নি, ওয়ার্ডে ৪১ জন রোগী পেটের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভর্তি হলেও সেগুলোর সব যে বন্যা পরবর্তী সেটা বললে ভুল হবে, এটা সদর হাসপাতাল বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে তাই পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবার কম।

অন্যদিকে বন্যার পানি নামলেও সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন। বন্যার পানি কমলে পানিবাহিত রোগের সংখ্যা বাড়তে পারে। গ্যাংরিংসহ মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এখনও অনেক জায়গায় বন্যার পানি আটকে রয়েছে। যে টিউবওয়েলগুলো পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে পানি খাওয়া যাবে না, টিউবওয়েলের পানি জীবাণুযুক্ত থাকতে পারে। যারা গোসলের জন্য পানি ব্যবহার করবেন, তারা যেনো ফিটকিরি দিয়ে ব্যবহার করে। খাবার পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উপজেলা হাসপাতাল, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে বিশুদ্ধকরণের ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’ এই প্রতিপাদ্যেবিস্তারিত পড়ুন

আমরা নির্ভীক ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতাকে সম্মান করি: তারেক রহমান

নির্ভীক ও পক্ষপাতহীন সাংবাদিকতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন

‘গালি’ কেন দেন, ‘দেশ ছাড়তে বাধ্য’ কেন হয়েছিলেন- জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য

লোকে বলে পিনাকী গালি দেয়। আর পিনাকী বলেন—‘আমি তো আর মারতে পারিবিস্তারিত পড়ুন

  • সীমান্তে আটকের ৮ ঘণ্টা পর মামা-ভাগনেকে ফেরত দিলো বিএসএফ
  • সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • যশোরের শার্শায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে গনধোলায়ের স্বীকার
  • কলারোয়ায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে চুয়াডাঙ্গাকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা
  • দুই কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ; পাল্টা দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী
  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনে বাণিজ্যে ধাক্কা
  • ৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
  • পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
  • অর্থনীতির জন্য আগামী ৭ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব
  • একের পর এক কালবৈশাখী আসছে চলতি মাসে
  • ভুট্টা ক্ষেতে গাঁজা চাষ!
  • সেন্টমার্টিনে নেয়ার কথা বলে সরকারি বরাদ্দের বালু-সিমেন্ট গেলো মিয়ানমার!