গরমের স্বস্তি কেবল বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস পানি। এ পানির স্বাদ বাড়াতে তাই নানা উপাদান যুক্ত করা হয় তারতম্য বুঝে। কাঠ ফাটা রোদ থেকে রেহাই পেতে কিংবা তৃষ্ণা মিটাতে লেবু পানি কিংবা বাজারজাত প্যাকেটের গুঁড়া মিশ্রণ পানির স্বাদ বাড়িয়ে তুলে কয়েক গুণ। তবে এসব পানীয় আপনার তাৎক্ষণিক তৃষ্ণা মেটাতে পারলেও শরীরের প্রয়োজনীয় পানির অভাব কোনোভাবেই পূরণ করতে পারে না। ফলে ডিহাইড্রেড, ঠোঁট শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরের প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানি। এ ক্ষেত্রে গরমে আরাম সঙ্গে পানির তৃষ্ণা মিটাতে ডাবের পানি হতে পারে অন্যতম এক মাধ্যম।
ডাবের পানি মূলত মিষ্টি হয়ে থাকে। তবে ডাবের ভেতরে থাকা নারিকেলের ওপর নির্ভর করে মিষ্টির তারতম্য হয়ে থাকে। একটি সম্পূর্ণ ডাবের পানি পান করলে আপনার শরীর তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি ফিরে পায় সঙ্গে শরীর পায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া গরমে যাদের পেট ফেঁপে থাকে কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী। অন্যদিকে যাদের উচ্চরক্তচাপের কারণে নানা রোগে ভুগছেন তারা তাদের খাবার তালিকায় এ ডাবের পানি যুক্ত করতে পারেন। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া ওজন কমাতেও ডাবের পানি বেশ কার্যকরি। মূলত এতে থাকা কম কম সুগার এবং কম ক্যালরির কারণেই ওজন নিয়ন্ত্রণে ডায়েট খাবার তালিকায় ডাবের পানি যুক্ত করা হয়। এর পাশাপাশি ডাবের পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল-এর গুণাবলি যা আপনার শরীরকে রোগ প্রতিরোধক হিসাবে তৈরি করতে সহয়তা করবে।
গরমের এ সময়ে অনেক বেশি শরীর ডিহাইড্রেড হয়ে পরে কিংবা অনেকেরই পেটে নানা সমস্যা হয়ে থাকে। গরমে পেট ফাঁপা কিংবা পেট খারাপ হলে ডাবের পানি হতে পারে আপনার রোগ মুক্তির অন্যতম উপায়। ডাবের পানিতে আছে ইলেক্ট্রোলাইট যা আপনার শরীরের হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরিয়ে আনতে সহয়তা করে এবং পানির অপূর্ণতা দূর করে। এ ছাড়া আলসার, পেটে পাথর কিংবা ত্বকের পানির অপূর্ণতা দূর করে আপনার ত্বক ব্রণের হাত থেকেও মুক্ত রাখে এ ডাবের পানি। কাজেই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে ডাবের পানি হতে পারে আপনার হাতের কাছের এক সহজ পানীয় এবং খনিজ লবণের উৎস।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]