স্ত্রীকাণ্ডে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী জিনাত আরার অভিযোগে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী থানার বুরুজ গ্রামের জোনাব আলীর বিবাহিত ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দিনাজপুর সদর উপজেলার উপশহর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে স্কুলশিক্ষক জিনাত আরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আরিফুল প্রথম স্ত্রীর পরিচয় গোপন রাখেন। সে সময় তিনি দিনাজপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্বে ছিলেন।
বর্তমানে তাদের সংসারে ১৭ মাসের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইউএনও আরিফুল ইসলামের দুই স্ত্রীর মোবাইল ফোনে ঝগড়া হয়। এরপর বুধবার বিকেলে জিনাত আরা তার শিশুসন্তানকে নিয়ে ইউএনওর বাসায় গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ইউএনওর বাড়িতে থাকা আনসার সদস্য তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় ইউএনওর স্ত্রী জিনাত তার শিশুসন্তানকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন। এ সময় উৎসুক জনতা সড়কে ভিড় জমালে দুপাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে।
একপর্যায়ে আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ তার অফিসের কর্মচারীরা জোরপূর্বক জিনাতকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। যেতে না চাইলে টেনেহিঁচড়ে উপজেলা পরিষদে নিয়ে যান তারা।
এরপর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে বসিয়ে ইউএনওর স্ত্রীকে জানানো হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনও তার স্ত্রী জিনাত আরাকে তালাক দিয়েছেন। এমন খবর জানতে পেরে সন্ধ্যার পর জিনাত তার সন্তানকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষ থেকে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, তাকে তালাক দেয়া হয়েছে। আইনের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এটি একটি পারিবারিক বিষয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]