বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের মামলায় সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার পথে র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ কোম্পানির গোয়েন্দা সদস্যরা সায়দাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, এজাহার নামীয় আসামিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাতিলাকুড়া গ্রামের মৃত একেএম শাহাদত জামানের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটন (৫৩), শিচারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে মো. লিমন (৩২), জোড়গাছা গ্রামের আবদুল্লাহিল বাকী দুলুর ছেলে মো. রায়হান (২৮), একই গ্রামের মো. রানা (২৬), পিয়ালা মণ্ডলের ছেলে মো. রাজন (৩৫) এবং ফিরোজ কেরানীর ছেলে মো. নিপুন (২৮)। লীটন বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নৌকা) সাহাদারা মান্নান এমপির ছোট ভাই।
পুলিশ, এজাহার সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা কেএমএস মোস্তাফিজুর রহমান ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ভেলুরপাড়া চারমাথা এলাকায় মিনহাদুজ্জামান লীটনের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতাকর্মী ঈগল মার্কার কর্মী রেজওয়ানুল হক রেজভীর (৪৫) ওপর হামলা চালান। লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাথা ও কোমরে গুরুতর আঘাত পান।
স্থানীয়রা তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে রাতেই রেজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী সোনাতলা থানায় লীটনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ সোনাতলা এলাকা থেকে আনিসুর রহমান সরকারের ছেলে জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মতিনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে সোমবার রাতে লীটনসহ ছয় আসামি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ছয় নেতাকর্মী ঢাকায় পালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাত ১২টার দিকে র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ কোম্পানির গোয়েন্দা দল সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজ হাসান জানান, মঙ্গলবার ভোরে র্যাব সদস্যরা ছয় আসামিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। সকাল ১০টার দিকে তাদের বগুড়ার আদালতে হাজির করা হয়।
সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান, এজাহার নামীয় সাত আসামি গ্রেফতার হলো। অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]