দেশের আঞ্চলিক সড়কগুলোসহ মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশে এখন কৃষকদের ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ চলছে। যার ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। যানবাহন প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সড়কে থাকা খড়ের কারণে।
গত ৭ দিনে জামালপুর-কামালপুর রাস্তায় তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ যায় এক পান ব্যবসায়ীর। সোমবার (১৭ মে) বিকেলে ও রাতে পরপর দুটি দুর্ঘটনায় একটি প্রাইভেট কার ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
রাস্তার দুইপাশ দখল করে এসব কাজে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে হাইওয়ে থানা পুলিশ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব অপসারণ না করলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
এদিকে শেরপুর ঢাকা-মহাসড়কের নকলা থেকে গৌড়দ্বার, লাভা, পাইস্কা, নালিতাবাড়ী বাইপাস সড়কের বিস্তীর্ণ জায়গায় ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ চলছে। ২০ কিলোমিটার এ সড়কটির আশেপাশের ১০ গ্রামের কৃষকরা তাদের ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর জন্য ব্যবহার করছে। যার ফলে প্রশস্ত সড়কটি সরু রাস্তায় পরিণত হয়েছে।
জামালপুর-শেরপুরের মতো এমন পরিস্থিতি দেশের অধিকাংশ জেলাগুলোতে। এ অবস্থায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ হালকা যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এছাড়া ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর ফলে খড়কুটো উড়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। রাস্তার চলাচলকারী যাত্রীরা পড়ছে ভোগান্তির মুখে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]