তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নাসিরনগর, রামু, কুমিল্লা, বরিশালে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী৷ বাংলাদেশে যত ধরনের হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সবগুলোর জন্য ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে৷ তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ এসব ঘটনা আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে৷
ড. হাছান বলেন, আজকে যা করা হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রলবোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে? সন্ত্রাসী কার্যক্রম এ ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়৷ বিএনপির সমালোচনা করে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে, সাপ পেটানোর সময় মানুষ এ রকম করে কিনা সন্দেহ আছে৷ তারা সেই কাজটি করেছে৷ গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এ কাজ তারা করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে৷ বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই৷
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে এখন ৩৫ বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, সরকারি ৪টি টেলিভিশন আছে৷ আমরা প্রায় ৫০টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছি৷ এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫৬০ থেকে ১২৬০টিতে উন্নীত হয়েছে৷ পত্রিকা এবং অনলাইন মিলে ২শ’র কাছাকাছি পোর্টাল আমরা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়েছি৷ নতুন গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ায় অনেক মানুষের চাকরির সংস্থান হচ্ছে৷
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে৷ ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি সিম ব্যাবহৃত হয়৷ কারও দুই-তিনটা করে সিম৷ আমরা সরকার গঠন করার আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ, এখন সেটা ১২ কোটি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন ৬ থেকে ৭ কোটি মানুষ৷ এখন দেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল হয়েছে৷
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]