গত ১০ বছরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৩১২ জন। সবচেয়ে বেশি নিহত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
এ তথ্য জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী গবেষণাধর্মী সংগঠন সেভ দ্য রোড।
দেশের ২১টি জাতীয় পত্রিকা, ২২টি নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করে সংগঠনটি।
২০১৩ সালে হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর থেকে ২০২৩-এর ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়।
সেভ দ্য রোড জানায়, ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছোট-বড় ১৮৮টি দুর্ঘটনা হয় হানিফ ফ্লাইওভারে। এরমধ্যে ১৫৮ জন আহত এবং নিহত হন ৩০ জন।
পরের বছর ২০১৪ সালে ৭৩২টি দুর্ঘটনা হয়। যাতে ৫৫৩ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিহত হন।
এছাড়া ২০১৫ সালে ৭৫৯টি দুর্ঘটনায় ৫৬৮ জন আহত এবং নিহত হন ১২৩ জন।
২০১৬ সালে ৮৬৯টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন আহত এবং নিহত হন ১৫৮ জন।
২০১৭ সালে ৮৫৪টি দুর্ঘটনায় ৭০৭ জন আহত এবং নিহত হন ১১৮ জন।
২০১৮ সালে ৮৩৬টি দুর্ঘটনায় ৬০৯ আহত এবং নিহত হন ১৬৪ জন।
২০১৯ সালে ৮৪৪টি দুর্ঘটনায় ৬৭৯ জন আহত এবং নিহত হন ১১৬ জন।
২০২০ সালে ৬৮৬টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ৫১৯ আহত এবং নিহত হন ৬৭ জন।
২০২১ সালে ৮২৪টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ৬৬০ আহত এবং নিহত হন ৮৩ জন।
২০২২ সালে ৭৬৫টি দুর্ঘটনায় ৬২৭ আহত এবং নিহত হন ৭৩ জন।
সবশেষ ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৭৬টি দুর্ঘটনায় ৫৭২ জন আহত এবং নিহত হন ৫৯ জন।
সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান, পৃথক মোটরসাইকেল লেন না থাকা, যথাযথ তদারকি না করা, নিয়ম না মেনে দ্রুত গতিতে যানবাহন চালানো ও স্লিপারগুলো দুর্ঘটনামুক্ত করার জন্য উপযোগী না হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলছে।
সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম বলেন, নির্মম হলেও সত্য যে, কেবল বাইক লেন না থাকা ও অসতর্কতার কারণে হানিফ ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশই মোটরসাইকেলের।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]