বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘হাসিনার কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের কথাই বলিয়ে নিতে চাইছে ভারত’

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে ঘটে চলেছে একের পর এক ঘটনা। সবশেষে সবচেয়ে যে বিষয়টি আলোচনা আসে তা হলো ইসকন ও চিন্ময় দাস। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করতে থাকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পালিয়ে ভারতে চলে আসছেন।

তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি বলে নিশ্চিত করেছে ভারতেরই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। রোববার গত ছয় বছরের সরকারি তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে করা ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

এদিকে গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন।

বিবৃতি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন নিউজ টাইমের বর্ষীয়ান সাংবাদিক দীনেশ কে ভোরা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা এক ব্যক্তি কীভাবে বিবৃতি দিতে পারেন? আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো ব্যক্তি একটি দেশে কূটনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকে তখন তিনি বিবৃতি দিতে পারেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই নিয়মের উলঙ্ঘন করেছেন। ভোরার মতে, শেখ হাসিনা যা বলছেন, তা আসলে মোদি সরকারের শিখিয়ে দেওয়া বুলি। মোদি সরকার আসলে শেখ হাসিনার কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের কথাই বলিয়ে নিতে চাইছে হাসিনাকে দিয়ে।

ভোরার মতে, এই প্রবণতা আসলে আগুন নিয়ে খেলার সমান, আত্মঘাতী পদক্ষেপের সঙ্গে তুলনীয়। এর আগে নেপালের সঙ্গেও এমন আচরণ করেছে ভারতের মোদি সরকার। নেপালের সংবিধানে নাক গলিয়ে পার্বত্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ভারত।

অখণ্ড নেপালের মানচিত্রে সংসদে দেখিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দেশটি। যদিও নেপাল সরকার ভারতকে বেশিদূর এগোনোর সুযোগ দেয়নি। প্রতিক্রিয়ায় ভারত নেপালে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো বন্ধ করে দেয়। যদিও আজ পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেকথা স্বীকার করেনি। সেদিন থেকে নেপালের মানুষ ভারতকে ঘৃণা করে। এমনকি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিও চীনপন্থি। তাই ভারতের পদক্ষেপ বুমেরাং প্রমাণিত হয়েছে।

এর থেকেও বড় ভুল এখন বাংলাদেশের সঙ্গে করছে ভারত, শেখ হাসিনাকে মোহরা বানিয়ে। বাংলাদেশ বার বার ভারতকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিচ্ছে, কিন্তু ভারত সে কথা কানে তুলছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে আরও জলঘোলা হচ্ছে। বাংলাদেশের ইসকন মন্দির থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আর তাদের সদস্য নয়।

এদিকে ভারত শেখ হাসিনাকে এতটাই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে যে তিনি সেদেশে বসে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। হাসিনাকে এখনই না থামালে দু দেশের সম্পর্ক আরো তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করেন সাংবাদিক ভোরা। মালদ্বীপ, নেপাল ভুটানের মতো একই ভুল বাংলাদেশের সঙ্গে করছে ভারত। নিজেকে বিশ্বগুরু প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আসলে আগুন নিয়ে খেলছে ভারতের মোদি সরকার।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আগামি নির্বাচন অনেক কঠিন হবে: তারেক রহমান

আগামি নির্বাচন অনেক কঠিন হবে জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন

মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকিস্বরূপ : মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠাতে ভারত সরকারকে উদ্যোগ নিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীবিস্তারিত পড়ুন

ভারত কূটনৈতিক মিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ: জামায়াত আমির

ভারত নিজের দেশে তার প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা দিতে যেখানে ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

  • জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ তারেক রহমান : শামসুজ্জামান দুদু
  • ‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, সেখানে জাতপাতের ভেদাভেদ থাকবে না’
  • গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় মির্জা ফখরুলের স্বস্তি প্রকাশ
  • শিগগির তারেক রহমান দেশে আসছেন: মির্জা আব্বাস
  • দেশকে যারা ভালোবাসে তারা কখনো পালায় না- ডা. শ‌ফিকুর রহমান
  • বহু রক্তের বিনিময়ে চব্বিশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে সাতক্ষীরায় জামায়াতের আমীর
  • ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: খন্দকার মোশাররফ
  • সস্ত্রীক লন্ডন গেলেন মির্জা ফখরুল
  • সংস্কার নিয়ে চিন্তা নেই, জাতীয় সরকার বাস্তবায়ন করবে: আমীর খসরু
  • দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, সরকারকে ফারুক
  • ইসকন হাসিনার পতনের পর কেন প্রতিবাদ-আন্দোলন করছে