বৃহস্পতিবার, জুলাই ৩১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

হাসিনা, আসাদ—এরপর কে?

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতি ঘটে তার টানা ১৬ বছরের শাসনের। এই ঘটনার মাত্র চার মাস পর আরেক স্বৈরশাসকের পতন দেখলো বিশ্ব।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিদ্রোহীদের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। পতন হয়েছে তার টানা দুই যুগ শাসনের।

কয়েক মাসের মধ্যে এভাবে একাধিক স্বৈরশাসকের পতনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে—হাসিনা গেলেন, আসাদ গেলেন, এরপর কে?

বর্তমানে বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসন বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন চলছে। এসব দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত বা বিলোপ করা হয়েছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত রয়েছে একজন ব্যক্তি, সামরিক বাহিনী বা একটি নির্দিষ্ট দলের হাতে। অর্থাৎ, এই দেশগুলোতেই হতে পারে পরবর্তী স্বৈরাচারের পতন।

১. উত্তর কোরিয়া
কিম জং উনের নেতৃত্বে দেশটি কঠোর একনায়কতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। শাসক পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের বিরোধিতা কঠোর হাতে দমন করা হয়।

২. চীন
যদিও চীন নিজেদের সমাজতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্র বলে দাবি করে, তবে দেশটির ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) হাতে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি তার ক্ষমতা আরও সুসংহত করেছেন, যা একনায়কতান্ত্রিক শাসনের লক্ষণ।

৩. বেলারুশ
আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে বেলারুশ শাসন করছেন। নির্বাচনে কারচুপি এবং বিরোধীদের দমন করার কারণে তার সরকার স্বৈরাচারী বলে বিবেচিত হয়।

৪. ভেনেজুয়েলা
নিকোলাস মাদুরোর শাসনে দেশটি গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে গেছে। বিরোধীদের দমন, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে কুক্ষিগত করা হয়েছে।

৫. রাশিয়া
ভ্লাদিমির পুতিন দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় দেশটির শাসনব্যবস্থা অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিক রূপ নিয়েছে।

৬. মিয়ানমার
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ফলে দেশটিতে একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।

৭. ইরান
ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হাতে। দেশটিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতা সেখানে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

৮. কম্বোডিয়া
কম্বোডিয়ার শাসনব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক বলা হলেও, দেশটি কার্যত স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রয়েছে বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। বিশেষ করে হুন সেনের কয়েক দশকের শাসনকালে এটি আরও স্পষ্ট হয়েছে। ২০২৩ সালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন হুন সেনের ছেলে হুন মানেত। গত আগস্টে তিনি আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কম্বোডিয়ায়ও সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হতে পারে।

এছাড়া তাজিকিস্তান, ইরিত্রিয়া, তুর্কমেনিস্তান, জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি, কিউবা, সৌদি আরব, বাহরাইন, উগান্ডার মতো দেশগুলোতেও স্বৈরশাসন বা একনায়কতন্ত্র বিদ্যমান। ফলে নজর থাকবে এই দেশগুলোতেও।

একই রকম সংবাদ সমূহ

এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সভা, যে আলোচনা হলো

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়কবিস্তারিত পড়ুন

অনুমতি ছাড়াই প্রেস কাউন্সিল কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ নূরুল কবিরের

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার এ সংক্রাক্তবিস্তারিত পড়ুন

জবানবন্দিতে জুলাই আন্দোলন নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হন তৎকালীন পুলিশ মহাপরিদর্শকবিস্তারিত পড়ুন

  • ১০ আগস্ট খসড়া ও ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে একমত হওয়া বিষয়গুলো
  • গভীর সংস্কার না হলে স্বৈরাচার আবার ফেরত আসবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • ডাকসু নির্বাচন ৯ সেপ্টেম্বর
  • সারাদেশে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি
  • ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে উচ্চ আদালত
  • প্রাইমারির প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত
  • নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য কাজ করবে: প্রেস সচিব
  • এক বছরে রেকর্ড ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ শোধ করেছে সরকার
  • চিকিৎসার জন্য আবারো লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
  • নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা
  • বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই : প্রধান উপদেষ্টা