উশৃঙ্খল চলাফেরা এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় তার মাদকাসক্ত ভাই ও তাদের ভাড়াটিয়া মাস্তান কর্তৃক খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র শাহীনুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় ইজিবাইক চালক। আনুমানিক ৫ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামের মৃত. আশরাফ হোসেনের কন্যা জেসমিন নাহারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পূর্বে জেসমিনের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকায় সে বিবাহের পর থেকে উশৃঙ্খল চলাফেরা করতে থাকে। এছাড়া যখন তখন আপত্তিকর পোষাক পরিধান করে হাটে-বাজারে চলাফেরা করে। তাকে বারবার সচেতন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। ধীরে ধীরে আমি অবগত হই আমার স্ত্রীর দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও জাকির অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আর ওই ব্যবসার সাথে আমার স্ত্রীও জড়িত এবং আমাকেও মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বলে। কিন্তু আমি তাতে রাজি না হওয়ায় সাংসারিকভাবে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তার অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি আমার স্ত্রী আমার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারপিট করতে থাকে। গত কয়েকমাস পূর্বে পিতা-মাতাকে কিলঘুষি মেরে মারাত্মক আহত করে। আমি ইজিবাইক চালিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমাকেও মারপিট করতে উদ্যত হয়। হাটে বাজারে প্রকাশ্যে আমাকে অপমানিত করে।
তিনি আরো বলেন, একজন পুত্র যদি জানতে পারে তার স্ত্রী পিতা-মাতাকে মারপিট করে, সেই পুত্রের কি আর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার মত পরিস্থিত থাকে? একবার নয় একাধিকবার ওই স্ত্রী নামের কলঙ্ক জেসমিন আমার পিতা-মাতাকে মারপিট করেছে। এবিষয়ে তাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে তাকে তালাক প্রদান করি। সেসময় জেসমিন শিশু বিষয়ক কর্মকতার কার্যালয়ে অভিযোগ করে। সেখানে সন্তানের কথা চিন্তা করে আপোষের মাধ্যমে তাকে নিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করি। কিন্তু আবারো পূর্বের ন্যায় পিতা-মাতাকে মারপিটসহ অত্যাচার শুরু করে। উপায়ন্তর হয়ে ২ সেপ্টেম্বর দেনমোহর, খোরপোষসহ সম্পূর্ণ আইন মেনে তাকে তালাক প্রদান করি। তালাকের বিষয়টি অবগত হয়ে আমার স্ত্রী জেসমিন এবং তার মাদক ব্যবসায়ী দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও জাকির প্রকাশ্যে আমাকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আমার সংসার পরিচালনার একমাত্র ভরসা ইজিবাইক চালানো। জেসমিনের মাদক ব্যবসায়ী দুই ভাই তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন মোড়ে দাঁড় করিয়ে রাখে। আমাকে পেলেই খুন জখমসহ হয়রানির চেষ্টা করছেন। তাদের ভয়ে আমি ঠিকমত ইজিবাইক চালাতে পারছি না।
উল্লেখিত জাহাঙ্গীর এবং জাকির কদমতলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। এমনকি তাদের মাতা রোকেয়া বেগমের নামেও মাদকের মামলা রয়েছে। একাধিবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন। যে কারণে তারা যে কোন আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। একদিকে ওই মাদকব্যবসায়ী পরিবারের কন্যাকে বিবাহ করে আমার জীবন, আমার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি। আমি বর্তমানে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট।
ওই মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের কবল থেকে আমার একমাত্র পুত্র সন্তানকে উদ্ধার ও পরিবারের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]