পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা ও সাহস বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫০ বছর এগিয়ে গেল। পদ্মার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে বড় প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করার সক্ষমতা তৈরি হলো। আগামী ২৫ জুন ১৭ কোটি মানুষের দৃষ্টির মোহনা হবে পদ্মার পার।
রবিবার (১৯ জুন) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সাথে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্ততি সভায় তিনি একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, পদ্মা সেতু শুধু ইট পাথর আর স্টিলের সেতু নয়, এটি আমাদের আবেগ ভালবাসা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। স্বাধীনতার পর আমাদের এটি বড় অর্জন। এই প্রকল্পের মাধ্যেমে জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। কারন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ঘোষণা করেছেন জনগণের সাড়া না পেলে পদ্মা সেতু নির্মান সম্ভবত হতো না। এ সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। কর্মসংস্হান বৃদ্ধি পাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্মরণকালের সেরা হবে জানিয়ে উউপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সেতুর দক্ষিণপাড়ের ২১ জেলার মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা শুরু হয়েছে। সবাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শরীক হতে চান। সংযুক্ত হতে চান ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে। এ জন্য যারা প্রবাসী তারাও যোগাযোগ রাখছেন। কেউ কেউ ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন। ফেরার অপেক্ষায় অনেকে। কাজেই এখন পরিলক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সেরা অনুষ্ঠান হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় ছিল বলেই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখান সেটাকে বাস্তবায়ন করেন। তিনি আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। তার সততা ও দক্ষতা এবং মেধার কারনে এশিয়া মহাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তিনি সেরাদের সেরা প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু,নাহিম রাজ্জাক ও পারভিন হক সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে সহ জেলা প্রশাসনের সব উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যবিবরণী-পিআইডি
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]