শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: ২য় স্ত্রীর অত্যচার হাত থেকে বাঁচতে ও সংগঠনকে রক্ষা করতে লির্ডাসের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত বেসরকারি সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ২০২০ সালে তার প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পল্লবী সরকারে সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। এনজিওর পরিচালক হয়ে বেশি টাকার মালিক নাওয়ায় তার চাহিদা পূরুন করতে পারিনা বলে আমাকে সব সময় গালিগালাজ করে থাকে। আমার সংসারে পূর্বের স্ত্রীর থাকা মেয়ে, আমার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী, বোন, বোনজামাইকে নিয়ে গালিগাজ করে।
আমার বয়স বেশি ও সুন্দর চেয়ারা না থাকায় আমাকে নিয়ে বাইরের মানুষের কাছে বাজে মন্তব্য করে। এছাড়া আমার বর্তমান স্ত্রী টাকার জন্যে আমাকে বিয়ে করেছে বলে সে জানায়। টাকা না দিলে সংসার করবে না। সন্তান হওয়ায় সে চলে যেতে পারছে না বলে আমাকে ডিভোর্স দিতে বলে । ইতিপূর্বে সে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে সুদের ব্যাবসা করছে বলে আমি জানতে পরি। সে আমার অফিসের সাথে সংশ্লিষ্ট না হয়েও অফিসের নানা বিষয় নিয় ঝামেলা করে।
এমন কি অফিস স্টাফদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে, তাদেরকে অফিস থেকে বের করে দিতে বলে। এতে করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এসকল বিষয় নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছোট বাচ্চাকে মারধর করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দেয়। আমাকে নিয় ইঙ্গিত করে সোস্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর পোষ্টও দিয়েছে।
লিডার্সের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন,আমার কাছে লিডার্সের পরিচালক একটা অভিযোগ করেছে তদন্তের জন্যে একটি টিম করে দিয়েছি। তারা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তবে তাদের মধ্যে সমঝোতার কথা চলছে।
এ বিষয়ে লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, তৃতীয় পক্ষ আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আসলে বিষয়টা সঠিক নয়। এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। যারা এ ধরনের তথ্য আপনাদের দিচ্ছে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন।
এ বিষয়ে মোহন মণ্ডলের দ্বিতীয় স্ত্রী পল্লবী সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে সে যে অভিযোগ এনেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি এখনো বিষয়টা সেভাবে জানি না। তবে যদি এ ধরনের অভিযোগ এনে থাকে তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]