র্যাবের সহযোগিতায় নিখোঁজের ২২ বছর পর ফারজানা আক্তার (ছদ্মনাম) নামে এক বোনকে ফিরে পেয়েছেন তার আপন ভাই। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী ক্যাম্পের (কোম্পানি কমান্ডার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েটিকে তার ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।
সোমবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ খন্দকার মো. শামীম হোসেন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
ফারজানা আক্তার নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের মৃত মো. ওমর আলীর মেয়ে।
হারিয়ে যাওয়া ফারজানা আক্তারের ভাই মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ২০০০ সালে আমার বোন হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, না পেয়ে মনে করেছি বোন মারা গেছে।
এর আগে, সোমবার রাত ১১টার দিকে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল নোয়াখালীর সুধারাম থানার সোনাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ হওয়া ফারজানা আক্তারকে উদ্ধার করে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারজানা আক্তার গত ২২ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। ভিকটিমের পরিবার আশপাশের বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পারে যে, তার বোন মারা গেছে অথবা পাচারকারী লোকজন পাচার করেছে।
গত শনিবার (২ এপ্রিল) ভিকটিমের ভাই মো. শহীদ উল্লাহ সুধারাম মডেল থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ভিকটিমের ভাই গত রবিবার সাধারণ ডায়েরিসহ র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর ক্যাম্পে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভিযোগের আলোকে র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীতে ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিম ফারজানা আক্তারকে সুধারাম থানার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ভিকটিমের ভাষ্যমতে জানা যায়, তিনি তার ঠিকানা বলতে না পারায় বাড়িতে ফিরে আসতে পারে নাই। ঘটনাক্রমে এক ব্যক্তির মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে এতদিন রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে ছিলেন। উদ্ধারকৃত বোন ও তার বড় ভাই শহীদ উল্লাহকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানায় পাঠানো হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]