২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিক বা ২০২৪ এর শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার সকালে রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় স্বাগত বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্রের মূল প্রশাসনিক ইউনিট, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা। পদাধিকারবলে আপনারা জনগণের কাছে থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় সরকার গঠনের গুরুত্ব আপনারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করে থাকেন।’
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্যান্য কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা উপস্থিত রয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রথমেই আমি ও আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের আন্তরিক স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সম্মানিত সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকও উপস্থিত আছেন। আপনাদেরও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমেই আপনারা আজকের সভার উদ্দেশ্য জেনেছেন।’
‘সংবিধান ও বিভিন্ন আইন অনুযায়ী নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকলেও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন প্রতি বছরই, কোনো না কোনো কারণে চলমান থাকে। যেমন আগামী ১৭ তারিখে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয় সংসদের দুটো উপ-নির্বাচন রয়েছে। আগামী বছরের শেষ প্রান্তিকে বা ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের সভার উদ্দেশ্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ সব নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের ও কমিশনের সমন্বিত দায়িত্ব, ভূমিকা, করণীয় নিয়ে আলোচনা এবং মতবিনিময় করা। আশা করি, কার্যকর আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে আজকের সভা সফল ও ফলপ্রসূ হবে।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]