করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হলো কলকাতা থেকে খুলনা যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন। মাত্র ১৯ জন যাত্রী নিয়েই আজ রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বন্ধন এক্সপ্রেস (কলকাতা-খুলনা) ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেন যাত্রার শুভ সূচনা করা হয়।
এদিন সকালে ট্রেন ছাড়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীর গোটা শরীর ভালো চেক করা হয়।
তাদের মোবাইল, ওয়ালেট, ঘড়ি সবকিছু একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে গোটা শরীর চেক করেন বিএসএফ কর্মকর্তারা। এসময় অতিরিক্ত মালপত্র বহনের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক ধার্য করা হয়। সেক্ষেত্রে কোনও যাত্রীর কাছে ৩৫ কেজি থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত মালামাল থাকলে, প্রতি কেজিতে ২ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। এরপর সেখানে তাদের টিকিটে সিল মেরে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পাঠানো হয়।
সেখানেও আবার পরীক্ষা করে ট্রেনে প্রবেশ করানো হয়। ট্রেন ছাড়ার আগে স্নিফার ডগ দিয়ে পুরো ট্রেনেও তল্লাশি চালায় বিএসএফ কর্মকর্তারা।
পূর্ব রেল (শিয়ালদা ডিভিশন) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হরি নারায়ন জানান, বন্ধন এক্সপ্রেস আজকে গিয়ে আজকেই আবার খুলনা থেকে কলকাতা ফিরে আসবে। করোনা অতিমারির কারণে যেহেতু দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল, তাই যাত্রীসংখ্যা একটু কম।
তবে আগামী দিনে ১০০% যাত্রী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘ প্রায় ২৬ মাস পর বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলছে। স্বভাবতই যাত্রীদের মধ্যেও ছিল উচ্ছ্বাস। টিকিট পেতে তাদের কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। প্রথমদিনে যাত্রী সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম, মাত্র ১৯ জন।
সপ্তাহে দুইদিন- রবি এবং বৃহস্পতিবার এই ট্রেনটি কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে সপ্তাহে পাঁচদিন মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে।
উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন সার্ভিস চালু হয়। বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের দুইটি ক্যাটাগরি আসন রয়েছে- একটি এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং অন্যটি চেয়ার কাট। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ১২০০ রুপির মতো, চেয়ার কাটে ভাড়া ৮০০ রুপির মত।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]