দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান সোনালীনিউজকে জানান, টানা ১৫ দিন ধরে এ জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ৪৪ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ১৬ শতাংশ। এরপর তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান ছিলো ১৪ শতাংশ।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। সেদিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিলো ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র এই দাবদাহে ঘরে-বাইরে কোথাও এক মুহূর্ত স্বস্তি মিলছে না। তীব্র রোদের কারণে তাপ উঠছে মাটি থেকেও। সকাল থেকেই থাকছে রোদের তাপ, ভ্যাপসা গরম। এতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। রোদের তীব্র তাপে মানুষ বাইরে বের হতে পারছেন না। দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে।
তাপের তীব্রতায় শহরের বেশ কিছু সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছু দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিসের সহায়তায় জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হয়।
এদিকে সারাদেশে আবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্ক বার্তা জারি করেন।
এর আগে এ মাসে তিন দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। দ্বিতীয় দফায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয় ১৯ এপ্রিল।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]