নিজস্ব প্রতিনিধি : নিয়োগ বিধি সংশোধন, বেতন বৈষম্য নিরসন ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার স্বাস্থ্য সহকারীরা। শনিবার (০৪ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন’র সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মবিরতী পালিত হয়। গত-১ অক্টোবর বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। ‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচি ইপিআই সহ তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবার কাজে কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবিকৃত নিয়োগ বিধি সংশোধন, ইন সার্ভিস ট্রেনিং ও ১৪তম গ্রেডে আপগ্রেডেশনসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইপিআই আসন্ন টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনসহ সকল প্রকার কার্যক্রম ০১/১০/২০২৫ তারিখ হতে বর্জন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ হেলথ্ এ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
কর্মবিরতীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সহকারী শারমিন নাহার, হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্য সহকারী এসএম নুর ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্য সহকারী রনজিত কুমার ঘোষ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রের মধ্যে প্রতিদিন ১৫ হাজার কেন্দ্রে টিকাদান বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা গ্রহণের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রায় দেড় লাখ মা ও শিশু। কর্মবিরতির ফলে আসন্ন ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমও পড়বে অনিশ্চয়তার মুখে। এতে টিকা থেকে বঞ্চিত হতে পারে প্রায় ৫ কোটি শিশু-কিশোর।
স্বাস্থ্য সহকারীদের নেতারা বলেন, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান করতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে। আমরা সারা দেশের ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা বারবার শুধু কর্তৃপক্ষের আশার বাণী শুনে যাচ্ছি। আর আশার বাণীতে বিশ্বাসী নই, বাস্তবায়ন চাই। আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত একজন স্বাস্থ্য সহকারীও কর্মস্থলে ফিরব না। কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য সহকারি এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]