২০১৭ সালে মাগুরায় এবং ২০১৩ সালে কুমিল্লায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়েছিলেন খোরশেদ আলম। দু'বারই তার কারাদণ্ড হয়েছিল।
পড়ালেখা মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। পেশা মেডিকেলের ওয়ার্ডবয়। কিন্তু ছদ্মবেশে তিনি আবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এমনকি এমবিবিএসের পাশাপাশি এফসিপিএস এবং এমডি ডিগ্রিও রয়েছে তার।
অবশ্য এর আগেও দু’বার ধরা পড়ে জেলে গিয়েছিলেন খোরশেদ আলম। তবুও ছাড়েননি ছদ্মবেশ ধারণ করে চিকিৎসা দেওয়া। এবার তৃতীয়বারের মতো আটক হলেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।
চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার কর্নেলহাট এলাকায় চেম্বার খুলে গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাছিলেন খোরশেদ আলম নামে এ ভুয়া চিকিৎসক। অভিজ্ঞতা বলতে, অষ্টম শ্রেণি পাস করে ঢাকা মেডিকেলে অস্থায়ী ওয়ার্ডবয়ের কাজ করেছেন কিছুদিন। আর তাতেই তিনি হয়ে ওঠেন পরিপূর্ণ চিকিৎসক। যেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব কিছুই তার নখদর্পনে চলে আসে। রোগী দেখে ভিজিট নিতেন ৫০০ টাকা।
চট্টগ্রামেই রয়েছে তার দু'টি পৃথক চেম্বার। চেম্বারগুলোর সাইনবোর্ড এবং ভিজিটিং কার্ডে লেখা রয়েছে এমবিবিএস (ডিএমসি), এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (নিউরোলজি) নামের নানা বহর। আর বিশেষজ্ঞ হিসেবে রয়েছেন নিউরোমেডিসিন, ডায়াবেটিস এবং মেডিসিন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ বলেন, ‘নানাভাবে আমাদের কাছে এ ভুয়া চিকিৎসকের তথ্য আসছিল। সব তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে।'
সিএমপি পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা জানান, ২০১৭ সালে মাগুরায় এবং ২০১৩ সালে কুমিল্লায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়েছিলেন খোরশেদ আলম। দু'বারই তার কারাদণ্ড হয়েছিল। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি সেই জেলা পরিবর্তন করে অন্য জেলায় গিয়ে তার চিকিৎসা প্রতারণা শুরু করেন।
আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির হোসেন জানান, ভুয়া চিকিৎসক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে এবার আর ভ্রাম্যমাণ আদালত নয়, জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগে আকবরশাহ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সৌজন্যে: সময় নিউজ
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]