আবু সাঈদ সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কাঠিয়ায় এক স্কুল শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা টি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার শহরতলী তালতলা গ্রামে, এ বিষয়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মা বিচার দাবি করে বিভিন্ন ব্যক্তির দারে দারে ঘুরছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া গ্রামের মৃত. আশরাফুল আলম সিদ্দিকি (মনা) এর একমাত্র পুত্র তানজিম সিদ্দিকি দিপ্ত ১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনার সুবাদে পরিচয় হয় তালতলা গ্রামের আজিজুল ইসলামের কন্যা মৌরিনা তাসরীন এর সাথে। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৌরিনা তাসরীন দিপ্ত এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে মৌরিনা তার নিজের বাড়িতে আসতে বলে। দিপ্ত মৌরিনার বাড়িতে আসার মুহূর্তেই তালতলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও মিন্টুর নেতৃত্বে ব্যাপক মারধর করে আহত করে এবং দিপ্তর ব্যবহৃত বাই সাইকেলসহ তার কাছে থাকা টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে।
এ বিষয়ে দিপ্তর মা সাংবাদিকদের নিকট মোবাইল ফোনে বলেন আমার ছেলে খুবই ছোট মানুষ, তারা উভয়ে একই সাথে পড়াশোনা করার সুবাদে তাদের মধ্যে কথা হয় এবং ঘটনার দিন মৌরিনা তাসরীন আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে লোক মাধ্যমে ব্যাপক মারপিট করে আহত করে। আমার ছেলের কাছে থাকা নতুন বাই-সাইকেল কেড়ে নিয়ে তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি আইনি আশ্রয় নিবো। কেন আমার ছেলে কে তারা ডেকে নিয়ে মারলো।
এ বিষয়ে তালতলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদেরকে জানান যে, মনিরুল ইসলাম ও মিন্টু তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে লিপ্ত থাকে এবং এইভাবে তারা অর্থ কামিয়ে থাকে ও মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক মামলা আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান যে, ওই মেয়েকে দিয়ে মনিরুল ও মিন্টু বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট ব্লা করে ও মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি সম্প্রতি তালতলা স্কুলের এক শিক্ষককে ওই মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। শুধু তাই নয়, মেয়ের বাবা আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মাদকের মামলা আছে। ঐ মামলাই সে এখন ফেরারি আসামী। আজিজুল ইসলাম তার মেয়েকে একাধিক জায়গায় বিয়ে দিয়ে অর্থের বিনিময়ে তার মেয়েকে ছাড়িয়ে নেয়। বর্তমানে ঐ মেয়েকে তালতলা এলাকায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত আছে। আমরা এটার প্রতিকার চাই এবং পুলিশ প্রশানের দৃষ্টি কামনা করি। এ বিষয়ে মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেনি
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]