বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

একদিনের সন্তান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করলেন মা

ঋণের টাকা পরিশোধ করতে একদিনের সন্তানকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিলেন মা। সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিয়ে এখন দিনরাত কাঁদছেন মা। নবজাতক ভাইকে কাছে রাখতে না পেরে অভিমানে ঘর ছেড়েছে বড় ভাই।

হাসিনা বেগম নামে ওই নারী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের টেপারহাট গ্রামের জোকতার আলীর স্ত্রী। তিনি একই এলাকার তালুক হরিদাস নয়াটারী গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের মেয়ে।

জানা গেছে, ১৮-২০ বছর আগে একই গ্রামের জোকতার আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় হাসিনার। কিন্তু হাসিনা ছিলেন জোকতারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের কিছু দিন স্বামীর বাড়িতে থাকলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হাসিনার ঠাঁই হয় তালুক হরিদাস নয়াটারীর বাবার বাড়িতে।

সংসারের খরচ বহন না করলেও স্বামী জোকতার সম্পর্ক রেখেছিলেন হাসিনার সঙ্গে। এরই মাঝে তার সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলের জন্ম হয়। বড় মেয়ে রোসনার বিয়ে দেন।

একমাত্র ঝুপড়ি ঘরে দুই ছেলে হাসান ও রাসেলকে নিয়ে কৃষি শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হাসিনা বেগম। করোনাকালে এবং মাঠে কাজ না থাকায় বেকার হাসিনা বেগমের ঋণ হয়ে যায় প্রায় ১০ হাজার টাকা।

এরই মাঝে গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে হাসিনা বেগম একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। অভাবের সংসারে সন্তানকে নিয়ে চিন্তায় পড়েন হাসিনা। তবে তার ভাই নিঃসন্তান কেরামত আলী বোনের সন্তানকে নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

কিন্তু প্রতিবেশী অধির চন্দ্র তার শ্বশুরবাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকার এক দম্পতিকে সন্তানটি দিতে বলেন। এতে বাধা দেন হাসিনা বেগম ও তার বড় ছেলে হাসান।

অধির চন্দ্র রাজারহাটের ওই দম্পত্তির হাতে নবজাতককে তুলে দিতে হাসিনার স্বামী জোকতার আলীকে ম্যানেজ করেন। এতে হাসিনা ও তার ছেলে রাজি না হলেও জোকতার ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক সন্তানকে তুলে দেন রাজাহাটের দম্পত্তির হাতে।

পরে সন্তান বিক্রির টাকায় ঋণের ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন হাসিনা বেগম। কিন্তু নাড়ি ছেড়া ধন হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট ভাইকে রক্ষায় ব্যার্থ হয়ে বড় ভাই হাসানও বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে ঘর ছাড়ে।

হাসিনার বড় ছেলে হোটেল শ্রমিক হাসান জানায়, ভাইকে বিক্রি করতে নিষেধ করায় বাবা আমাকে ত্যাজ্য করার হুমকিসহ মারপিট করেছে। মা এখন শুধু কাঁদছে। এ দুঃখে আমি বাড়ি ছেড়ে মালিকের হোটেলেই থাকি। ২০ হাজার টাকা পেলেই ভাইকে ফেরত আনতে পারতাম। কিন্তু টাকা তো নেই।

হাসিনার ভাই কেরামত আলী বলেন, বিয়ের ১০ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের সংসারে সন্তান নেই। ইচ্ছা ছিল বোনের সন্তানকে নেব। কিন্তু বোনের স্বামী টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন।

হাসিনা বেগম বলেন, গরিব মানুষ খাবার পাই না। প্রতিবেশী অধিরের আত্মীয়ের কাছে দিয়েছি। তারা ভালোভাবে দেখবে। আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। তার মধ্যে গতকাল হাওলাতি (ঋণের) ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রোখসানারা মুক্তা বলেন, মূলত অভাবের কারণেই নবজাতককে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন হাসিনা বেগম। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি। তাকে আর্থিক সহায়তা করলে মাতৃত্ব বিক্রি করতে হত না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর: প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যেসব সাংবাদিক মবেরবিস্তারিত পড়ুন

পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়, সংবিধানে কোনো বাধা নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে থেকেও নির্বাচন করা যায়। সংবিধানে এতে কোনো বাধা নেইবিস্তারিত পড়ুন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের এপিএস মনিরের দুই নৌযান জব্দ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেনের মালিকাধীনবিস্তারিত পড়ুন

  • পিআর হলে দেশে কোনো সরকার গঠন না-ও হতে পারে -খন্দকার মোশাররফ
  • মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের কারণ ‘পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি’
  • নভেম্বরে না হলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট চায় জামায়াত
  • নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
  • ডেঙ্গুতে একদিনে ঝরলো ১০ প্রাণ
  • মাদারীপুর-১ আসনে ঘোষিত প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করল বিএনপি
  • দেশে জলবায়ু খাতে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে: টিআইবি
  • ঢাবির ৪০৩ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
  • তিন আসন থেকে নির্বাচন করবেন খালেদা জিয়া
  • প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি আসছে
  • বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই রুমিন ফারহানার নাম
  • এবার সঠিক সময়েই বই পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা: উপদেষ্টা