বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সেনাবাহিনীর যে বার্তা শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়ে দেয় তারা প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আর দমনপীড়ন চালাতে পারবে না। এতেই শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর আগের রাতে সেনাপ্রধান তার জেনারেলদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, কারফিউ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর সেনারা আর গুলি ছুড়বে না। ওই মিটিংয়ের বিষয়ে জানেন এমন দুইজন সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।

এতে বলা হয়, এরপরই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ছুটে যান গণভবনে। তিনি শেখ হাসিনাকে এই বার্তা দেন যে, তিনি যে লকডাউন আহ্বান করেছেন তা বাস্তবায়নে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন তার সেনারা। ভারতীয় একজন কর্মকর্তাও এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে ম্যাসেজ ক্লিয়ার হয়ে যায়। তা হলো: হাসিনার পক্ষে সেনাবাহিনীর আর কোনো সমর্থন নেই।

এতে আরো বলা হয়, সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদের কর্মকর্তাদের অনলাইন মিটিং এবং তারপর শেখ হাসিনাকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এর আগে আর কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। শেখ হাসিনা ১৫ বছর যেভাবে শাসন করেছেন তাও উঠে আসে। তিনি বিন্দুমাত্র ভিন্নমত পোষাণ করেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এসবের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর আকস্মিকভাবে সোমবার তার ইতি ঘটে। তিনি পালিয়ে চলে যান ভারতে।

এর আগে দেশজুড়ে কারফিউ দেওয়া হয়। তাতে রবিবার কমপক্ষে ৯১ জন নিহত ও কয়েক শত মানুষ আহত হন। জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরুর পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাণহানির দিন।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন রবিবার সন্ধ্যার আলোচনার বিষয়। তিনি বলেছেন, এটা ছিল নিয়মিত মিটিং। সেখানে আপডেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে বাড়তি প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বা তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্স এসব নিয়ে ১০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। এর মধ্যে আছেন চারজন সেনা কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের অন্য দুইজন সূত্র। তারা বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে নাম প্রকাশ করতে চাননি। গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০ বছর বাংলাদেশ শাসন করেছেন শেখ হাসিনা। জানুয়ারিতে তিনি টানা চতুর্থ দফায় নির্বাচিত হন।

এর আগে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে। তিনি কঠোর হস্তে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের এক রায়কে কেন্দ্র করে তার সেই ক্ষমতা চ্যালেঞ্জে পড়ে। ছাত্রদের আন্দোলনে সেই রায় পরে সংশোধন করা হয়। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভ রূপ নেয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে।

শেখ হাসিনার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে জানাননি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভের আকার এবং কমপক্ষে ২৪১ জনের মৃত্যু শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে অসম্ভব করে তোলে। এমনটা বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক তিনজন সিনিয়র কর্মকর্তা।

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সেনাদের ভিতর ব্যাপক পরিমাণে অস্বস্তি ছিল। সম্ভবত এজন্যই চিফ অব আর্মি স্টাফের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ, সেনারা ব্যারাকের বাইরে এবং তারা দেখতে পাচ্ছিলেন কি ঘটছে।

সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, এতে জীবন রক্ষার কথা ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদেরকে ধৈর্য প্রদর্শন করতে বলা হয়। এতে প্রথমেই যে ইঙ্গিত মেলে তা হলো সেনাবাহিনী সহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে শক্তিপ্রয়োগ করবে না। ফলে শেখ হাসিনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েন। সোমবার কারফিউ অমান্য করে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল আনাম খানের মতো সিনিয়র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজপথে নেমে পড়েন।

তিনি বলেন, আমাদেরকে থামায়নি সেনাবাহিনী। আমরা যেটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেনাবাহিনী সেটাই করেছে।

অনির্দিষ্টকালের দেশজুড়ে কারফিউয়ের প্রথম দিন সোমবার শেখ হাসিনা গণভবনের ভিতরে অবস্থান করেন। এটি রাজধানী ঢাকায় ভারি নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। এর বাইরে রাস্তায় রাস্তায় জনতার ঢল নামে। লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। ভারতীয় কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তি- যারা এ বিষয়ে জানেন, তারা বলেন- এমন অবস্থায় দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রী।

বাংলাদেশের একটি সূত্র বলেছেন, শেখ হাসিনা এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা এসময় একসঙ্গে ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন পালিয়ে যাবেন। দুপুরের দিকে তারা ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, জুলাই মাসজুড়ে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল নয়া দিল্লি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

মে মাসে স্পেসএক্স স্যাটেলাইট সেবার কারিগরি যাত্রা শুরুর আশা

মার্কিন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশযাত্রা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর গ্লোবাল এনগেজমেন্ট বিষয়ক ভাইসবিস্তারিত পড়ুন

রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান টেকসই প্রত্যাবাসন : কাতারে আলোচনায় ড. ইউনূস

রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যারবিস্তারিত পড়ুন

জানা গেল আসিফ মাহমুদের এপিএসের চাকরি ছাড়ার কারণ

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • ডিএমপির অফিস আদেশ স্থগিত, আসামি গ্রেফতারে লাগবে না অনুমতি
  • মব জাস্টিস আর অ্যালাউ নয়, অনেক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
  • জ্যেষ্ঠ ৩ বিচারপতি থেকে প্রধান বিচারপতি, দুই মেয়াদের পর বিরতিতে ফের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিএনপি
  • এক হাজার শয্যার চীন সরকারের হাসপাতাল হবে নীলফামারীতে
  • শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু : দুদক কমিশনার
  • বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনাসদস্য নেবে কাতার
  • হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
  • সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করলো ইন্টারপোল
  • নকশা না মেনে গড়ে তোলা ৩৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক
  • জুলাই-আগস্টের অপরাধের সঙ্গে হাসিনার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে
  • উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএসকে অব্যাহতি