বুধবার, নভেম্বর ১২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাত বছরেও শেষ হয়নি বর্ষবরণে শ্লীলতাহানির মামলার বিচার

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে টিএসসিতে ন‌্যাক্কারজনক যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। জাতির প্রত্যাশা ছিল ঘটনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে।

দেখতে দেখতে সাত বছর কেটে গেলেও শেষ হয়নি মামলার বিচার। ঘটনায় জড়িত ৮ আসামির মধ্যে সাতজনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মো. কামাল নামের এক আসামিকে নিয়েই মামলার বিচারকাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে।

সাক্ষী না আসায় থমকে আছে মামলার বিচার। ২০১৭ সালের ১৯ জুন মামলাটিতে একমাত্র আসামি কামালের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছরে মাত্র তিন জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। সাক্ষীদের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও পুলিশ তাদের হাজির করতে পারছে না। মামলাটির বিচার কবে শেষ হবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষ কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির করতে পারেনি। এজন্য আদালত আগামি ১৮ মে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

মামলা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘মামলাটি প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বিচারাধীন ছিল। পরবর্তীতে মামলাটি এ আদালতে বিচারের জন্য বদলী করা হয়। এখন মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মামলাটি নিয়ে আমরা (আদালত সংশ্লিষ্টরা) সবাই তৎপর। আদালত থেকে সাক্ষী হাজির করতে থানায় সমন পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা না থাকায় সাক্ষী হাজির করা যাচ্ছে না। পুলিশ তৎপর হলে সাক্ষী হাজির করে মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করা যাবে।’

রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, ‘এ মামলার অধিকাংশ সাক্ষীই পুলিশ। তারা অনেকে শাহবাগ থানায় কর্মরত ছিলেন। এখন অনেকে অনেক জায়গায় বদলি হয়ে গেছেন। সাক্ষীদের আদালতে আনার দায়িত্বও কিন্তু পুলিশের। আমরা আদালত থেকে সাক্ষীদের হাজির করতে সমন পাঠাচ্ছি। তারপরও তারা আসছেন না। তারপরও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে সাক্ষী হাজির করে মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করা যায়।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, ‘মামলার এজাহারে কামালের নাম ছিল না। পুনঃতদন্তে চার্জশিটে তার নাম এসেছে। সে একজন ডায়াবেটিস রোগী। গরিব মানুষ। লালবাগের খাজী দেওয়ানে সে ফুটপাতে সবজির ব্যবসা করে। যেহেতু সে ডায়াবেটিস রোগী, এজন্য ওইদিন সে বের হয়েছিল হাঁটাহাটি করার জন্য। ওই ঘটনা ঘটার পরে জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর কামাল সেখানে হাঁটাহাটি করতে যায়। সেখানে যে কোনো ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে কামাল কোন কিছু জানত না। সে হেঁটে এসেছিলো আর তার ছবি ওই ভিডিও ফুটেজে এসেছে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ফুটেজে এমন কিছু আসেনি যে, সে কাউকে ধরছে, টানছে বা শ্লীলতাহানি করছে। ভিডিও ফুটেজে তার ছবি আসার কারণে তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সে অপরাধ সম্পর্কে কিছুই জানে না।’

তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রকৃত আসামিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। যেনতেনভাবে চার্জশিট দিয়ে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে মামলায় সম্পৃক্ত করেছে। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আছে। এখন পর্যন্ত যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা কেউ নির্দিষ্টভাবে কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলতে পারেনি। ন্যায় বিচার সকলের প্রত্যাশা। প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার না করে অযথা, ভুলভাবে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। আমরা ন্যায় বিচার আশা করছি। প্রকৃত সত্যটা উদঘাটিত হোক। নিরাপরাথ মানুষ অযথা যেন সাজা না পায় সেই আশায় আছি।’

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। শাহবাগ থানার পুলিশ মামলাটি কয়েকদিন তদন্তের পরই তদন্তভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়।

মামলার একমাস পর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও থেকে আটজন যৌন হয়রানিকারীকে শনাক্ত ও তাদের ছবি পাওয়ার কথা জানান তৎকালীন পুলিশ প্রধান একেএম শহীদুল হক। শনাক্তকৃতদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। কিন্তু তাদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনও গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে সনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল (৩৫) গ্রেপ্তার হলে তাকে প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়।

২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র তিন জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরা হলেন-মামলার বাদী এসআই আবুল কালাম আজাদ, চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী তুহিন কান্দি দাস।

এদিকে মামলার একমাত্র আসামি কামাল জামিনে আছেন। হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিবিস্তারিত পড়ুন

দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশেরবিস্তারিত পড়ুন

৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামীবিস্তারিত পড়ুন

  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
  • প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
  • সারাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সমাজসেবা কার্যালয় কাজ করছে: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন
  • গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব, যেসব সুবিধা পাবেন
  • আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট