শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চোখ হারিয়েছেন ৪০১ জন

গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় দাদা মোহাম্মদ তোজাম্মলের সঙ্গে তাঁর চা–দোকানে ছিল দুই বছর তিন মাস বয়সী শিশু তানিয়া। দোকানের সামনে পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি লাগে তানিয়ার চোখে। গুলিতে বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে শিশুটি। ওই চোখ দিয়ে সে এখন শুধু এক ফুটের মধ্যে হাতের নড়াচড়া বুঝতে পারে।

সম্প্রতি তানিয়ার দাদা চা-দোকানি মোহাম্মদ তোজাম্মল সংবাদমাধ্যমে জানান, চোখে গুলি লাগার পর অনেক জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা করিয়েও তানিয়ার বাঁ চোখের দৃষ্টি ফেরানো যায়নি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তোজাম্মল বলেন, সেদিন দুপুরে তানিয়া আমার দোকানের সামনে বসে ছিল। পুলিশ প্লাজার দিক থেকে কয়েকটি গাড়িতে করে সেখানে আসে একদল পুলিশ। দোকানের সামনে দিয়েই গাড়িগুলো যায়। পেছনের গাড়িটি আমার দোকান থেকে ২০-২৫ হাত দূরে যাওয়ার পরে হঠাৎ গুলি করতে শুরু করে। হঠাৎ দেখি আমার নাতির চোখ থেকে রক্ত পড়ছে, তার কপালটাও ফুলে গেছে। সেখানে ওই সময় কোনো আন্দোলনকারী ও বিক্ষোভ চলছিল না বলেও জানান তিনি।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ছোঁড়া ছররা গুলিতে ৪০১ জনের চোখ নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। এক চোখ নষ্ট হয়েছে ৩৮২ জনের। এ ছাড়া ২ জনের দুই চোখে ও ৪২ জনের এক চোখে গুরুতর দৃষ্টিস্বল্পতা দেখা দিয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চোখে আঘাত নিয়ে ৮৫৬ জন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে ৭১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে ৫২০ জনের। তাদের মধ্যে ৫৫৮ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী।

হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, চোখে গুলি বা আঘাত নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তিদের ১৫৯ জনই শিক্ষার্থী। এ ছাড়া চাকরিজীবী ৫৩ জন, শ্রমজীবী ৪৯ জন, ব্যবসায়ী ৩৫ জন, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ২৯ জন, দোকানদার ও দোকানকর্মী ১১ জন, গৃহিণী ৭ জন ও মেকানিক ৭ জন। এর বাইরে শিক্ষক ও পুলিশ দুজন করে চারজন এবং একজন চিকিৎসক। তবে ২২৪ জনের পেশা কী, তা জানা যায়নি।

আরও জানা গেছে, গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টি হারানোদের মধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী। বাকিদের মধ্যে শ্রমিক, গাড়িচালক ও চাকরিজীবী দুজন করে ছয়জন। একজন শিক্ষক। অন্য ছয়জনের পেশাগত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী ৬৩ জন। এর মধ্যে চারজনের বয়স ১০ বছরের কম বলেও জানিয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আর সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)পর্যন্ত ওই হাসপাতালে মোট ৫৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।

হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে অন্তত তিনজন এখনো দুই চোখের দৃষ্টি পুরোপুরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। এর বাইরে অনেকের এক চোখের অবস্থা খুবই খারাপ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ডাঃ আনিছুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়ার প্রয়াত ডা. মোঃ আনিছুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ।বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩ সেতু

পানির তীব্র স্রোতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙ্গে গেলো বেত্রবতী নদীর ৩বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে পবিত্র সিরাতুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিত

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে পবিত্র সিরাতুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

  • জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার জনজীবন
  • দেবহাটায় সিভিএ প্রক্রিয়াগুলির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সভা
  • সামাজিক ন্যায় বিচার ও গণতন্ত্র নিশ্চিতে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ
  • ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার মানে প্রশাসন ব্যর্থ’ : মির্জা ফখরুল
  • ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবকেকে নির্যাতন করে হত্যা, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
  • আরেকটি মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
  • রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী
  • চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
  • সাতক্ষীরায় দুই গ্রাম ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নারীর সংবাদ সম্মেলন
  • কলারোয়ায় দুর্গোৎসবে সম্প্রীতি রক্ষায় পাশে থাকবে বিএনপি
  • প্রাইম ব্যাংক’র সাথে চুক্তি করলো নিওফারমার্স
  • যশোরের গনসমাবেশকে জনসমুদ্র করার লক্ষ্যে শার্শায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা