আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে খাজরা ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা
স্টাফ রিপোর্টার: (২১ মে) আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে খাজরা ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ভোটার ও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভোটাররা বলছেন ভোট সুস্থ নিরপেক্ষ এবং ভোটকেন্দ্রে যেতে পারব তো। নাকি যাওয়ার আগেই ভোট দেওয়া হয়ে যাবে এমন প্রশ্ন এখন সাধারণ ভোটারদের মাঝে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে, আশাশুনি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম চিংড়ি প্রতীক, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম পিন্টু আনারস প্রতীক, আলহাজ্ব এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীক ও ব্যবসায়ী গাউসুল আলম রাজ দোয়াত কলম নিয়ে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিমধ্যেই প্রতিটা প্রার্থী উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
খাজরা এলাকার বাসিন্দা আনারুল ইসলাম রিপন হোসেন বিপ্লব কুমার দাস সহ স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডালিম চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অহিদুজ্জামান পরাজয় বরণ করেন। পরের দিন সকালে গদাইপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় বিজয় মিছিলে গুলি বর্ষণ করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এরপর দীর্ঘ আড়াই বছর পার হলেও এলাকায় ঢুকতে পারিনি অহিদুজ্জামান।
তারা আরো বলেন, গত ৫ মে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর গ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, ব্যাংক ডাকাত সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক মামলার আসামি কামাল পারভেজকে সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক মোটরসাইকেল যোগে পুলিশ পাহারায় মিছিল সহকারে খাজরা ইউনিয়নে প্রবেশ করে চিংড়ি মাছ চিংড়ি মাছ স্লোগান দিতে দিতে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ডালিমের নাম ধরে হুমকি দিতে থাকে।
নির্বাচনের আর মাত্র ১৪ দিন বাকি থাকতে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এমন মিছিল মহড়া দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন বলে জানান তারা।
ঘোড়া প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, নির্বাচন সামনে রেখে এমন ধরনের মহড়া সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারা বলছেন ভোট সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবেতো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে, তার সাথে মিছিল মিটিং করতে গেলে কর্মীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই বড়দল ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের পোস্টার টানানো কে কেন্দ্র করে এবিএম মোস্তাকিমের সমর্থকরা তার এক সমর্থককে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, কামালের বিরুদ্ধে পেন্ডিং কোন মামলা আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে কোন ব্যক্তি এলাকায় এসে আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)