নড়াইলে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করেছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসি!
নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে এক যুবলীগ নেতার অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করেছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসিরা বলে অভিযোগ উঠেছে।
নদীর ভাঙ্গন থেকে বাড়িঘর ও সম্পদ রক্ষায় অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই নদীর দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ গ্রামবাসি লাঠি-শোঠা নিয়ে বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসির চাপে যুবলীগ নেতার সহযোগীরা নদী থেকে ৩০টি বালু উত্তোলনের ড্রেজার উঠিয়ে নিয়ে স্থান ত্যাগে বাধ্য হয়েছে বলে গ্রামবাসিরা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, প্রায় একবছর ধরে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কোন ইজারা ছাড়াই দৈনিক ৫০টি ড্রেজার মেশিনে উত্তোলিত বালু ১৫০ ট্রলারে বহন করে থাকে। ওইদিন নবগঙ্গা নদীর দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় দুই পারে প্রায় ৩০টির বেশী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে এবং প্রায় ১০০টি বালুবাহী জাহাজ বালু বহন করছে। ঘাটের পাড়ের রাস্তাসহ ফসলি জমি নদীর মধ্যে বিলীন হতে শুরু করেছে।
উপজেলার নোয়াগ্রামের বাসিন্দা আসলাম, জহির মোল্যা ও ইলিয়াজ মোল্যা জানান, নবগঙ্গা নদী থেকে বিরতিহীন ভাবে ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে তাদের গ্রামের একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার অভিযোগ করে বলেছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্দসহ নদীর ভাঙ্গন থেকে জনপদকে রক্ষার জন্য তারা স্থানীয প্রশাসনের কাছে কয়েক বার লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রবাবশালী মহল বালু উত্তোলন করে কোটি টাকা আয় করছে। আর নদীর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পাশাপশি নদীতে যাচ্ছে জনপদ ও ফসলী জমি। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি তাতে আকৃষ্ট হয়নি। তাই জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে সাধারন জনগণ নদী থেকে ড্রেজার তাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
যুবলীগ নেতা মো. রবিউল ইসলাম খান অবৈধ বালু উত্তোলনের সত্যতা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়াডাঙ্গা বালু মহালটি বৈধ ভাবে ইজারা নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া নির্দ্ধারিত সীমানার মধ্য থেকেই তিনি বালু উত্তোলন করছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)