পরিযায়ী পাখির নিরাপত্তা সচেতনতায় সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির চা চক্র
পাখি প্রকৃতির অলঙ্কার ; কৃষকের বন্ধু এবং ফসল পরিচর্যায় অন্যতম কীটনিয়ন্ত্রক। পাখি নিসর্গকে করে সুন্দর, চোখকে দেয় প্রশান্তি ও সৌন্দর্য চেতনাকে করে আলোড়িত। হেমন্তের হিমেল বাতাসের সাথে অতিথি রূপে উড়ন্ত পথে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে – রূপসী বাংলার বিভিন্ন হাওর, বাঁওড়, জলাশয়সহ বিভিন্ন বনাঞ্চলে। শীতে এসব পাখিদের উপস্থিতি বাংলার প্রকৃতি-পরিবেশ ও পর্যটন শিল্পকে প্রসারিত করে। পরিযায়ী পাখির মাধ্যমে দূর-দূরান্তের গাছের বীজ নতুন জায়গাতে চলে আসে। এদের সংখ্যা কমে গেলে কীটপতঙ্গের আক্রমণে ফসলের উৎপাদন কমে যাবে এবং একচেটিয়া ভাবে নির্ভরশীলতা বাড়বে কীটনাশকের ওপর। যার ফলে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব পড়বে। পরিযায়ী পাখি প্রাণ-প্রকৃতির বন্ধু। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রত্যেকের স্ব স্ব অবস্থান হতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ এর মাধ্যমে পরিযায়ী পাখির নিরাপত্তাদানে আমাদের প্রাণীবান্ধব হতে হবে। প্রতি বছর ফিরে ফিরে আসুক পরিযায়ী পাখিরা আর তাদের কলকাকলিতে ভরে উঠুক আমাদের পরিবেশ। আমাদের কোনো ধরনের অমানবিক আচরণ যেন এদের মুক্ত জীবনযাপনে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য আমাদের সচেতন হওয়া দরকার।
১৮ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ শহীদমিনার চত্তরে সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটি আয়োজিত চা চক্রে সভাপতির বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন, সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটি এর সভাপতি তরুণ লেখক তারিক ইসলাম।
তরুণ লেখক তারিক ইসলামের সভাপতিত্বে ও সধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন,সহ সভাপতি ফয়জুর রহমান,সংগাঠনিক সম্পাদক ফিরোজ হুসাইন,পরিবেশ জলবায়ু ও ভূপ্রকৃতি সম্পাদক পৃথা মন্ডল,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মুমতাহিনা মাহবুবা,কৃষি ও সামাজিক বনায়ন সম্পাদক রিপন সরকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ মুস্তাহিদ আহমেদ শোয়েব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দপ্তর সম্পাদক,সমাজকল্যান সম্পাদক শাম্মী আকতার আকদাস হুসাইন,প্রচার সম্পাদক:আবু রায়হান,দক্ষতা ও জনশক্তি সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত,কার্যনির্বাহি সদস্য,তাসনিম তাবাচ্ছুম,পূজা ঘোষ,তাসিন আল আবিদ,মাসুদ রানা,নাজমুস সাকিব,শেখ মেজবাহ উদ্দীন,ফাতিমা বিনতে হাফিজুর,সুমাইয়া ফেরদৌসী,নাজমিন নাহার আশা,সৈওদা সাদিয়া,পূজা মিস্ত্রী,সদস্য আল ইমরান,মোঃ মহিন শেখ,শেখ রাফায়েত হক প্রমুখ।
চা চক্রে বক্তারা বলেন, জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির সৌন্দর্য বজায় রাখতে গড়ে তুলতে হবে পাখির নিরাপদ আবাস ও বনাঞ্চল। লাগাতে হবে পাখিদের জন্য বিভিন্ন ফলজ বৃক্ষ।অতিথি পাখি যে দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় ধরনের অবদান রাখছে তা অস্বীকার কোনো সুযোগ নেই। জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধনে অবদান রাখা অতিথি পাখিদের নিরাপদ রাখা দেশের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব। সরকারি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রুখে দিতে হবে অবৈধ শিকারিদের, নিয়ে আসতে হবে তাদের আইনের আওতায়। তবেই হয়তো রক্ষা পাবে অতিথি পাখিসহ স্থানীয় পাখি। রক্ষা হবে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)