পাঁচ মাস ধরে অফিসে যাননা শ্যামনগর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল
গত পাঁচ মাস ধরে অফিসে যাননা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল।
কোন প্রকার ছুটি না নিয়েই দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও সে ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই তার। বরং শ্যামনগর অফিসে না যেয়ে তিনি সাতক্ষীরা শহরে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে শিক্ষা অফিসের অফিসিয়াল কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করলেও তিনি তার কোন সদুত্তর দেননি। তিনি সাতক্ষীরা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে এক ডাক্তারকে ম্যানেজ করে ভূয়া একটি সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটির জন্য আবেদন করেই আর অফিসে যাননা। তাকে কেউ কিছু বললেই হাইকমান্ডে তার অনেক আত্মীয় চাকুরী করেন, তার অনেক ধরাকরা লোকজন আছে বলে হুমকি দেন। এ কারণে তার বেতন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত সুপারিশ করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রদীপ কুমার মন্ডল বলেন, ‘আমাকে শোকজ করবে কেন? আমিতো ছুটিতে আছি। আমাকে কুকুরে কামড়ানোর কারণে আমি ছুটির জন্য আবেদন করেছি। এই কারণে আমি আর অফিসে যায়না।’
আবেদন করলেই কি ছুটি পাওয়া যায়, কর্তৃপক্ষের তো ছুটির ব্যাপারটি এপ্রুভ করা লাগে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেন ছুটি দেবেনা? আমাকে কুকুরে কামড়াইছে। আবেদন করলে আমাকে ছুটি দিতে বাধ্য কর্তৃপক্ষ।
শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিঞা দৈনিক রানার’কে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তাকে তিনবার শোকজ করা হয়েছে। তিনি তার কোন জবাব দেননি। ফলে এ ব্যাপারে আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন লিখেছি। এছাড়া আমরা তার বেতন বন্ধ করে দিয়েছি এবং বিভাগীয় শাস্তির জন্য আমি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী দৈনিক রানার’কে বলেন, ‘প্রদীপ কুমার মন্ডল দীর্ঘদিন যাবৎ অফিস করেননা বলে আমি জেনেছি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক শাস্তির জন্য বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)