ফের পশ্চিমবঙ্গের আদালতে তোলা হয়েছে পিকে হালদারকে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ছয় অভিযুক্তকে ১১ দিনের কারা হেফাজত শেষ হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার ফের কলকাতার আদালতে তোলা হয়েছে।
পিকে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদারকে নিয়ে আসায় কলকাতা প্রেসিডেন্সি কারাগার থেকে। অন্যদিকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেল থেকে আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার আদালতেকে নিয়ে আসা হয়।
আপাতত তাদের সকলকে কোর্ট লকআপে রাখা হয়েছে।
তাদের স্পেশাল সিবিআই-২ এজলাসে তোলা হবে। যদিও আদালতে প্রবেশের সময় কেউই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।
গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন ইডি রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
এসময় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তাদের হদিস পায় ইডি।
১৩ দিনের ইডি রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আদালত তাদের ১১ দিনের কারা হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই পর্বে কারাগার গিয়েও পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গেছে। সেইসাথে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে, যদিও তদন্তের স্বার্থে কোনো ইডি বা কারাগার কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে রাজি হয়নি।
পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে যে, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পিকে হালদার এবং তার সহযোগীরা গোটা ভারত জুড়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছে। তাদেরকে জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাতের একটা বিশাল অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আবাসন খাতে।
কলকাতা এবং তার উপকণ্ঠে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছে যেগুলি পিকে হালদার বা তার সহযোগীদের হাতেই গড়ে উঠেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পিকে হালদার বা তার সহযোগীরা কেউই দেখাতে পারিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)