মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিদেশি ঋণ বাড়ায় চাপ বাড়ছে সুদ পরিশোধের

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতরাই অনিয়ম- দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত। এমনকি অর্থপাচারও করছেন বিদেশে! এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। তারা বলছে, অপরিকল্পিতভাবে প্রকল্প নেয়ায় বিদেশি ঋণ বাড়ছে। ফলে চাপ বড় হচ্ছে সুদ পরিশোধের।

গেলো এক যুগে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের ধুম পড়েছে বাংলাদেশে। যার বেশিরভাগই হয়েছে ঋণের টাকায়। এরই মধ্যে কিস্তি পরিশোধও শুরু হয়েছে দু’একটির। যেমন- রূপপুর প্রকল্পে বিদ্যুৎ পাওয়ার আগেই গুণতে হয়েছে সুদের টাকা।

প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পে সুদের হারও তুলনামূলক বেশি। সিপিডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলা হয়, ঋণনির্ভর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণেই চাপ বাড়ছে প্রতি বছর।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, গেলো ৮ বছরে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেড়েছে প্রায় আড়াইগুণ। জিডিপির যা সাড়ে ১৫ থেকে উঠে গেছে প্রায় ২২ শতাংশে। বিপরীতে ঋণ পরিশোধও সাড়ে ৩ বিলিয়ন থেকে চলে গেছে পৌনে ৫-এ। তবে বেশিরভাগ প্রকল্পের পরিশোধের সময় ২০২৫ থেকে শুরু হওয়ায় আগামীতে এই চাপ জ্যামিতিক হারে বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন বক্তারা।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আর্নিংয়ের একটা বড় পার্ট যদি ডেথ সার্ভিসিংয়ে চলে যায়, তাহলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য রিসোর্স কমে যাচ্ছে। ফলে আরও বেশি ঋণ নেয়া হচ্ছে।

এসময় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বক্তারা। তারা বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই খাত। এমনকি এসবের মাধ্যমে টাকা পাচারের শঙ্কাও করছেন অনেকে। সবাই বলেন, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের আর্থিক চাপ নিতে হবে সাধারণ মানুষকে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রত্যেকটি বড় প্রকল্পে নানা প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, গোষ্ঠী, ব্যক্তি সম্পৃক্ত রয়েছে। বিশ্লেষণ করলে দেখলে দেখা যাবে, টাকা পাচারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তারাই। অর্থনৈতিক, সুশাসন ঢিলা হয়ে গেছে। আমলারা রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি অতিকথন করছে।

অনুষ্ঠানে বক্তাদের মতামত ও আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান। তিনি বলেন, সরকার এই বিষয়ে এগুচ্ছে সতর্কতার সঙ্গে। মশিউর রহমান বলেন, আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিনিয়োগও বৃদ্ধি করতে হবে।

যতদিন পর্যন্ত দেশি অর্থায়ন না বাড়বে ততদিন বিদেশি অর্থ সহায়তা নিতে হবে। বাইরের ঋণ গ্রহণ করতে হবে। এটা খারাপ কিছু নয়। তবে এগুলো কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, সেসবে তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে।

এসময় বিদেশি ঋণের চাপ সামাল দিতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানো ও রেয়াতি অর্থছাড়ে দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন বক্তারা।

একই রকম সংবাদ সমূহ

নকশা না মেনে গড়ে তোলা ৩৩৮২ ভবন ভাঙা হবে: রাজউক

নকশা না মেনে ঢাকায় নির্মাণাধীন ৩ হাজার ৩৮২টি ভবনের অবৈধ অংশ চিহ্নিতবিস্তারিত পড়ুন

জুলাই-আগস্টের অপরাধের সঙ্গে হাসিনার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে

‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে প্রধান আসামি শেখ হাসিনাসহ তার অধস্তন সাবেকবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএসকে অব্যাহতি

স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • ‘পলাতক আ.লীগ নেতাদের প্রত্যাবাসন চাইব’ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
  • শিগগিরই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ
  • লাখ টাকা সম্মানী ফিরিয়ে দিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, বললেন এটা হবে কেন?
  • রেকর্ড উচ্চতায় সোনার দাম, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও!
  • টিউলিপ প্রকাশ্যে বলছেন বাংলাদেশি নন, তথ্যপ্রমাণ বলছে ভিন্ন কথা
  • চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
  • চীনে এবার আম, আগামী বছর যাবে কাঁঠাল
  • ‘সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না’
  • রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ালো পৌনে ২৭ বিলিয়ন ডলারে
  • রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ালো ইসি
  • বিচার ব্যবস্থাকে আরো সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা