রাজধানীতে দিনে না হলেও’ রাতে পালিত হচ্ছে লকডাউন


সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে।
রাজধানীতে দিনের বেলায় লকডাউন কতটুকু পালিত হয়েছে তা নিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন, আলোচনা এবং সমালোচনা থাকলেও রাতের বেলায় লকডাউন সঠিকভাবেই পালিত হতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যা হতেই পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে রাজপথে মানুষের উপস্থিতি ক্রমেই কমতে থাকে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিকশাচালকরা যাত্রীর খোঁজে দাঁড়িয়ে থাকলেও যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। রাতের রাজপথে সুনসান নীরবতা বিরাজ করে।
বড় বড় মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল চালকদের ফাঁকা রাজপথে দ্রুতবেগে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়। চলতি বছরের গত তিন মাসে রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাটে এমন নীরবতা আর দেখা যায়নি।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর লালবাগ, ধানমন্ডি, রমনা, কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানা এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও রাজপথ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লার ছোট-বড় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়কের কোথাও কোথাও ভ্যানগাড়িতে করে শাকসবজি ও ফলমূল বিক্রেতারা দাঁড়িয়ে থাকলেও ক্রেতা না থাকায় বেচাকেনা হচ্ছে না। রাতের বেলায় কোনো ধরনের গণপরিবহনও দেখা যায়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বারডেম দুটি হাসপাতাল থাকার কারণে শাহবাগ মোড়ে দিন-রাতের যেকোনো সময় অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি থাকলেও আজ রাতে তা দেখা যায়নি। দিনের বেলায় বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেলেও রাতে উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
পুরান ঢাকার লালবাগ ও আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল ও বেকারিসহ ফাস্ট ফুডের সব দোকান বন্ধ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, বিকেল থেকেই পুলিশ এসে সন্ধ্যার আগেই দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে গেছে। এ কারণে সবাই দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
নিউমার্কেট, গাউছিয়া, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে দিনভর লকডাউনের বিরোধিতা করে মালিক কর্মচারীরা বিক্ষোভ করলেও রাতের বেলায় সেখানে তাদের কাউকে দেখা যায়নি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মার্কেট এলাকায় মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
