শীর্ষ নেতাদের যা বলেছেন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতে, জানালেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন জনগণের কল্যাণেই তিনি রাজনীতি করেছেন, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, বন্দি অবস্থায় বলা যেতে পারে-সেটাও রাজনৈতিক কারণে আছেন। উনি এই কথাগুলোই বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ফিরোজার মূল ফটকের সামনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঈদের দিন তিনি (খালেদা জিয়া) আমাদের ডাকেন, আমরা কথা বলি। পুরোপুরি সৌজন্যমূলক কথাবার্তা। কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তিনি তো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, দলের চেয়ারপারসন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
এখনো তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দি হয়ে আছেন। আমরা সব সময় বলে আসছি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া উচিত। মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত। এ কথাটা এখনো জোর দিয়ে আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই।
খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির ৯ সিনিয়র নেতা। রাত আটটায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির আটজন সদস্য।
বিএনপি মহাসচিব ছাড়া অন্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
পরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ এবং তার স্ত্রীও বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৯ বয়সি খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)