সংঘাত নয়, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি- প্রধানমন্ত্রী
বিশ্ব শান্তি নিশ্চিত করা এখন অতীতের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রযুক্তির প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন অপশক্তির নতুন নতুন হুমকি। ফলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবেল করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেকোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি অস্ত্র নয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। আমরা সংঘাত নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করি। শান্তির জন্য যা যা করা দরকার বাংলাদেশ তা করবে।
সোমবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শাহাদাতবরণকারী অফিসার ও সৈনিক পরিবারের সদস্য এবং আহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকারী সব শান্তিরক্ষীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সব আহত শান্তিরক্ষীসহ বর্তমানে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষীর প্রতি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে, ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম, বিশ্বের বুকে রোল মডেল।
জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা দায়িত্ব পালনের সঙ্গে স্থানীয় এলাকায় আন্তরিকতার সঙ্গে সামাজিক দায়িত্বও পালন করেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবো। ফলে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি বাহিনী ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার চেষ্টা করছি।
আগামী বাজাটে সাত লাখ কোটি টাকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হতদরিদ্র এখন পাঁচ দশমিক ০৭ শতাংশ। বাংলাদেশ এগিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য- দেশে আর কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। এটা আমরা দূর করবো। দেশে একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)