শনিবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অবশেষে নিজেই জরিমানা পরিশোধ করে ছাগল ফেরত দিলেন সেই ইউএনও!

‘একটি ছাগলের জরিমানা কাহিনী’ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সম্প্রতি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের পার্কের বাগানে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে এক ছাগলের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন সীমা শারমিন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

অবশেষে ১০ দিন পর নিজের পকেট থেকে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে মালিককে সেই ছাগল ফেরত দিয়েছেন ইউএনও।

বৃহস্পতিবার বিকালে ছাগলটি মালিক সাহারা বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

আদমদীঘি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়।

সীমা শারমিন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের টার্গেট অন্য কিছু ছিল না। শুধুমাত্র সংশোধনের জন্য। ছাগল বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর জরিমানা করার পর ছাগল আমার এখানে নিরাপত্তার জন্যই জিম্মায় রাখা হয়েছিল একজনের কাছে। যাতে ছাগলের কোনও ক্ষতি না হয়। ফুলগাছ খাওয়ার বিষয়ে ছাগলের মালিককে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। এ কারণে ছাগল আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছাগলের মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

ফেরত পাওয়ার পর ওই ছাগলের মালিক সাহারা বেগম বলেন, আমার ছাগল কয়েকদিনে খুব নাকাল হয়ে গেছে। এভাবে একটি পশুকে আটকে রাখা ঠিক না। তবে ছাগল ফেরত পেয়েছি এখন আর কোনও অভিযোগ নেই। তার ছাগল এর আগে বাগানের ফুল খায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে গত ১৭ মে উপজেলা পরিষদের বাগানের ফুল খাওয়ার অপরাধে ছাগলটি আটক করে ইউএনও।

এদিকে জরিমানার টাকা দিতে না পারায় ১০ দিন আটকে রাখার পর মালিক সাহারা বেগমকে না জানিয়ে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবার ছাগল মালিক সাহারা বেগম এ অভিযোগ তুলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো সংলগ্ন এলকায় বসবাস করেন। তার স্বামীর নাম জিল্লুর রহমান। গত ১৭ মে তার ছাগলটি হারিয়ে যায়। অনেক জায়গায় তিনি ছাগলটির সন্ধান করেন। পরে এলাকার লোকজন তাকে জানান, ছাগলটি ইউএনও’র এক নিরাপত্তা কর্মীর কাছে রয়েছে। তিনি ইউএনও’র বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে দেখেন। এ সময় সাহারা বেগম ছাগল নিতে চাইলে তাকে ছাগল দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই নিরাপত্তাকর্মী এবং তাকে জানান, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২২ মে ছাগলটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সাহারা খাতুন অভিযোগ তুলেছিলেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যশোর বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ১৪০ ভেন্যুকেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার ১৪০টি ভেন্যুকেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল করছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। একইসঙ্গেবিস্তারিত পড়ুন

‘কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে’ : তারেক রহমান

কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে- সেবিস্তারিত পড়ুন

  • ৭৭টি অতি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪টি : প্রেস সচিব
  • দুর্গাপূজা নিয়ে দেশে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা
  • মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো হাঁড়িভর্তি ব্রিটিশ আমলের ধাতব মুদ্রা
  • আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেছেন জিয়াউর রহমান: মির্জা ফখরুল
  • পিআর ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ: সালাহউদ্দিন
  • যাদের সদ্যজন্ম কিংবা স্বাধীনতা প্রশ্নে ভিন্নমত ছিল তারাও আজ বিএনপির সমালোচনা করে- মির্জা ফখরুল
  • গায়ের জোরে দেশ শাসনের দিন শেষ: মিয়া গোলাম পরওয়ার
  • নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ: আইজিপি
  • নিম্নকক্ষ আসন ভিত্তিক, উচ্চকক্ষ হবে পিআর পদ্ধতিতে : বদিউল আলম মজুমদার
  • পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর
  • ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ : শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ
  • নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে