শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে হাজী সেলিম

দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে।

রোববার (২২ মে) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে যে কোনো শর্তে জামিনের আবেদন করেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম।

আবেদনে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন যাবত বাক-শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন হাজী সেলিম। তিনি দেশ ও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলে থাকলে চিকিৎসার অভাবে ও বাক-শক্তি না থাকায় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে যে কোনো শর্তে তার জামিন আবেদন করছি। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। তাই আপিল শর্তে আত্মসমর্পণ পূর্বক তার জামিন আবেদন করছি।

গত ২৫ এপ্রিল দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে হাইকোর্ট থেকে মামলার নথি এসে পৌঁছায়। এদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের নথি পাঠানো হয়।

সেদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, আইন অনুযায়ী আজ থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর হাইকোর্টের রায়ের ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা নেই।

এর আগে হাজী সেলিমকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

২০২১ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ পায় রায়।

এছাড়া জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী সেলিমকে আদালত আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। এছাড়া জব্দ করা হাজী সেলিমের সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেন হাইকোর্ট। সেখানে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল থাকে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনবিস্তারিত পড়ুন

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠক

বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছে দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ : আন্তোনিও গুতেরেস

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিওবিস্তারিত পড়ুন

  • মাগুরার সেই ‘ধ*র্ষ*কে*র’ বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
  • সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ
  • জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা
  • পরিবারের সিদ্ধান্তেই ঢাবি ক্যাম্পাসে হচ্ছে না ড. আরেফিন সিদ্দিকের জানাজা
  • সংস্কার নিয়ে মতামত দিলো ৭ দল, সময় চাইলো ১৬ দল
  • ধ*র্ষ*ণের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা : মির্জা ফখরুল
  • আছিয়াকে ধ*র্ষ*ণে*র ঘটনায় জড়িতের বাড়িতে অ*গ্নি*সং*যো*গ
  • শিশু আছিয়ার মৃ*ত্যু*তে মির্জা ফখরুলের শো*ক
  • আছিয়া ধ*র্ষ*ণ ও হ*ত্যা*র বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
  • শিশু আছিয়ার মৃ*ত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ
  • মাগুরায় ধ*র্ষ*ণের শিকার সেই শিশু মা*রা গেছে