বুধবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৫
প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

আশাশুনির চেউটিয়া নদী উন্মুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন যাবত আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া নদীতে বাঁধ দেয়া ও সুইজগেট নির্মান না করার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে আবাদি জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এতে আশপাশের প্রায় ১০ হাজার বিঘা কৃষি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, নদীটি উন্মুক্ত করে বিলের পানি সরে যেতে দিলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
এই দাবিতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে চেউটিয়া নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছে অত্র এলাকার সাধারন জনগন। বৃহস্পতিবার সকালে খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালিতে চেউটিয়া নদীর পাড়ে স্থানীয় শিবপদ মন্ডলের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন করা হয়।
এতে স্থানীয় কিংকর মন্ডল, হিরন্ময় মন্ডল, মনিন্দ্রনাথ মন্ডল সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার বিঘা আবাদি জমি রয়েছে। প্রতিবছর সেখানে বিপুল পরিমান ধান উৎপাদন হতো যা দিয়ে জেলার খাদ্যশস্যের চাহিদা মিটতো। কিন্তু কয়েক বছর যাবত পার্শ্ববর্তী চেউটিয়া নদীটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার পর থেকে বিলের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কারন মাছ চাষীরা খালের ওপর বাঁধ দিয়ে ও নেটপাটা লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এই কারনে নদীটি পলি জমে ভরাট হয়ে পানিধারন ক্ষমতা হারিয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ ঘের তৈরী করায় নোনা পানিও বিলে প্রবেশ করছে।
এসব কারনে ওই এলাকার চাষীরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ বাদ দিয়ে এলাকা ছেড়ে অনত্র চলে যাচ্ছেন। অনেকে দিনমজুর হিসাবে কাজ করছেন। এর ফলে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে, অর্ধাহারে ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফসল না হওয়ায় বিশাল এই বিলে গরু ও ছাগল চরাচ্ছেন অনেক কৃষক।
বক্তারা আরও বলেন, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত কালকি নামক সুইসগেটটি খুলে দেওয়া হলে বিলের পানি নিষ্কাশনের পথ সহজ হবে। এছাড়া ইজারা বাতিল করে চেউটিয়া নদীকে খোলপেটুয়া নদীর সাথে সংযোগ করিয়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। প্রায় ১০ হাজার বিঘার বিশাল এই বিলটিতে যদি ফসল ফলানো না যায় তাহলে কৃষকরা জমি বিক্রি করে দিতে পারে আর এতে লাভবান হবে স্থানীয় ভুমিদস্যূরা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, খাজরা ইউ পি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম, হাবিবুর রহমান, গণেশ চন্দ্র বৈদ্য, প্রদীপ চক্রবর্তী, অরুন মন্ডল, নৃপেন্দ্র মন্ডল সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। এদিকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কাজী আরিফুল রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি আলম নুর জলবদ্ধতা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কোনো ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন হবে বলে আশাবাদী মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কোনোবিস্তারিত পড়ুন

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল : ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুলবিস্তারিত পড়ুন

ইএমই কোরের সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়বিস্তারিত পড়ুন

  • ২৯ নভেম্বর মক ভোট : ইসি সচিব
  • আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ-সুন্দর পরিবেশে হবে: সাতক্ষীরার নবাগত জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার
  • ভূমিকম্পে আতঙ্ক নয়, সচেতনতার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
  • হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া
  • নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি শতভাগ যৌক্তিক: রিজভী
  • আগামী জুলাই থেকে সব প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর
  • ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
  • নির্বাচনী প্রচারণায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করলো জামায়াত
  • ভারতের চাল সিঙ্গাপুর থেকে কিনছে সরকার
  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে বড় বাধা ভারত?
  • ভূমিকম্প: রাজধানীতে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত
  • আইসিইউতে থাকা ৪১ শতাংশ রোগীর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না