বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনা আর বন্যায় ভাইসা গেছে ঈদের আনন্দ

আমাগো ঈদের আনন্দ করোনা রোগ আর বন্যার পানিতে ভাইসা গেছে। কোরবানির ঈদে এক টুকরা মাংস তো দূরের কথা, একটু স্যামাইও জুটে নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন, দিনমজুর নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ছিল ভূঞাপুর উপজেলার কোনাবাড়ি চরে। ১০ বছর আগে যমুনায় বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। তারপর গোবিন্দাসি ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। নুরুলের সেই ঘরও এখন বন্যার পানিতে থইথই। তাই গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস আগে থেকে নিয়মিত কাজ পান না। সঞ্চয় যা ছিল, তা শেষ। এক মাস ধরে বন্যার কারণে এই সড়কের পাশে রয়েছেন। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঈদের আনন্দ বলে কিছু তাঁদের নেই।

শুধু নুরুল ইসলাম নন। তাঁর মতো পাঁচ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে। ১আগস্ট শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কেউ পলিথিন দিয়ে, কেউ টিন দিয়ে ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ নেই মানুষগুলোর মধ্যে।

সড়কের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘এহানে যারা আছে তাগোরে কারও কোরবানি তো দূরের কথা, তিন বেল খাবার সামর্থ্যই নাই।’ কাইঞ্জা শেখ বলেন, এক মাস ধরে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে ঈদের দিনেও কোনো আনন্দ নেই।

বিকেল চারটার দিকে সড়কটির কষ্টাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পলিথিনের ডেরার ভেতর জহুরা বেগম নামের এক নারী রান্না করছেন। ঈদের দিন, মাংস রান্না করছেন কি না, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ডাইল-ভাত জুটে না, মাংস পামু কনে। গ্রামে থাকলে সমাজের মাংস কিছু পাওন যাইত।’ জহুরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার সময় আশপাশের ডেরা থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, ত্রাণ দেওয়ার জন্য নাম লেখা হচ্ছে। তালিকায় নাম তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। আসলে তা নয়, বিষয়টি জানতে পেরে সবার মন খারাপ হয়ে যায়।

রেনু বেগম নামের এক নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এখন খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে। তাই ঈদের দিনও তাঁদের কাছে অন্য দিনের মতোই অভাবের।

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এই সড়কটিতে গোবিন্দাসি ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরা বেশির ভাগই যমুনার ভাঙনে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়েছেন। সব হারিয়ে কেউ সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অথবা আশপাশের গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকছে।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজনকে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপির পক্ষ থেকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

অবশেষে এক্সকেভেটর দিয়ে ভাঙ্গা হলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি

ক্রেন দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার চেষ্টাবিস্তারিত পড়ুন

খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘শেখ বাড়ি’

খুলনায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়েবিস্তারিত পড়ুন

কুষ্টিয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদবিস্তারিত পড়ুন

  • সাতক্ষীরায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে ১৮ বিঘা কৃষি জমি দরপত্র ছাড়াই মাত্র ৭০ হাজার টাকায় ইজারা!
  • আমরা কী করলাম সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • যেকোনো মূল্যে স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে: তারেক রহমান
  • রমজানে লোডশেডিংমুক্ত রাখার টার্গেট: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ
  • রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব
  • শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস
  • কলারোয়ায় বেকার যুবক-যুবতীদের মাঝে সিসিডিবি’র আর্থিক সহায়তা বিতরণ
  • যারা আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে : প্রেস সচিব
  • ‘জেল থেকে’ সাবেক মন্ত্রী ফারুকের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল
  • সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি ডা. আব্দুল আজিজ ঢাকায় গ্রেফতার