রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

করোনা আর বন্যায় ভাইসা গেছে ঈদের আনন্দ

আমাগো ঈদের আনন্দ করোনা রোগ আর বন্যার পানিতে ভাইসা গেছে। কোরবানির ঈদে এক টুকরা মাংস তো দূরের কথা, একটু স্যামাইও জুটে নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন, দিনমজুর নুরুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ছিল ভূঞাপুর উপজেলার কোনাবাড়ি চরে। ১০ বছর আগে যমুনায় বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়। তারপর গোবিন্দাসি ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় সরকারি জায়গায় ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। নুরুলের সেই ঘরও এখন বন্যার পানিতে থইথই। তাই গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।

নুরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চার মাস আগে থেকে নিয়মিত কাজ পান না। সঞ্চয় যা ছিল, তা শেষ। এক মাস ধরে বন্যার কারণে এই সড়কের পাশে রয়েছেন। খুব কষ্টে দিন কাটছে তাঁদের। ঈদের আনন্দ বলে কিছু তাঁদের নেই।

শুধু নুরুল ইসলাম নন। তাঁর মতো পাঁচ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের পরিবার আশ্রয় নিয়েছে গোবিন্দাসি-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে। ১আগস্ট শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো কেউ পলিথিন দিয়ে, কেউ টিন দিয়ে ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। ঈদের আনন্দ নেই মানুষগুলোর মধ্যে।

সড়কের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘এহানে যারা আছে তাগোরে কারও কোরবানি তো দূরের কথা, তিন বেল খাবার সামর্থ্যই নাই।’ কাইঞ্জা শেখ বলেন, এক মাস ধরে অভাব-অনটনে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে ঈদের দিনেও কোনো আনন্দ নেই।

বিকেল চারটার দিকে সড়কটির কষ্টাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পলিথিনের ডেরার ভেতর জহুরা বেগম নামের এক নারী রান্না করছেন। ঈদের দিন, মাংস রান্না করছেন কি না, জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, ‘ডাইল-ভাত জুটে না, মাংস পামু কনে। গ্রামে থাকলে সমাজের মাংস কিছু পাওন যাইত।’ জহুরা বেগমের সঙ্গে কথা বলার সময় আশপাশের ডেরা থেকে লোকজন এসে ভিড় করতে থাকেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, ত্রাণ দেওয়ার জন্য নাম লেখা হচ্ছে। তালিকায় নাম তুলতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন সবাই। আসলে তা নয়, বিষয়টি জানতে পেরে সবার মন খারাপ হয়ে যায়।

রেনু বেগম নামের এক নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ও দুই মেয়ে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে একবার ১০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এখন খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটছে। তাই ঈদের দিনও তাঁদের কাছে অন্য দিনের মতোই অভাবের।

ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, এই সড়কটিতে গোবিন্দাসি ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরা বেশির ভাগই যমুনার ভাঙনে বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা হারিয়েছেন। সব হারিয়ে কেউ সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অথবা আশপাশের গ্রামে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে থাকছে।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, সড়কে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজনকে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপির পক্ষ থেকে একাধিকবার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।
সুত্র প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি, বিএসএফও সতর্ক অবস্থানে

দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধভাবে অতিক্রম রোধে আরওবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনির বামনডাঙ্গায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার: শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষের মা’য়ের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা.আব্দুল বারিক’র মা’য়েরবিস্তারিত পড়ুন

  • ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ! ভারতের পানি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক
  • কলারোয়ার ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
  • এক যুগ পর কলারোয়ায় হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী তাফসির মাহফিল, কমিটি গঠন
  • সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার
  • ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারের আগে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি নয়, গণভবন হবে জাদুঘর : উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত
  • কলারোয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা
  • আ.লীগ সরকার পতনের একমাস, যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘শহিদি মার্চে’ ছাত্র-জনতার ঢল
  • শেখ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশকে ভারত যে দৃষ্টিতে দেখছে
  • শেখ হাসিনাকে দেশে এনে সবার সামনে বিচার করা হবে: ড. ইউনূস
  • ইউজিসির নতুন চেয়ারম্যান ঢাবির সাবেক ভিসি এস এম এ ফায়েজ
  • নির্বাচন কমিশনের সিইসি ও চার ইসির পদত্যাগ, গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি