চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়পত্র ব্যবহারের নির্দেশ
লকডাউন পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এ নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।
গত ১৪ এপ্রিল সারাদেশে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি এক চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা দিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
হাসপাতালে যাওয়ার পথে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র সাথে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাসা থেকে বের হয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে। মুভমেন্ট পাস না থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এমনকি জেলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মুভমেন্ট পাসের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তবু কমছে না হয়রানি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ নির্দেশ দিয়েছে।
অধিদপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য সব স্বাস্থ্যকর্মীকে লকডাউনের পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসাসেবাসহ অন্য কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য বলা হলো।’
বিবৃতি আরো বলা হয়েছে, ‘দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে যাতায়াতের সময় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রর্দশনের পরেও অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
‘জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কর্মস্থলে যাতায়াতে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় প্রথম দফায় ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই বিধিনিষেধ চলে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে ২০ এপ্রিল, মঙ্গলবার পর্যন্ত।
এই বিধিনিষেধের সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় কমিটি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)