নির্বাক পানি উন্নয়ন বোর্ড!
ত্রুটিপুর্ণ স্লুইসগেট: শার্শার দক্ষিনাঞ্চল প্লাবিত
ত্রুটিপুর্ন স্লুইস গেটের কারণে ভারতের ইছামতি নদীর জোয়ারের পানিতে শার্শার দক্ষিনাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে। পুটখালী, গোগা, উলাশী বাগআঁচড়া ও কায়বাসহ ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।
ইছামতির সাথে সংযুক্ত রুদ্রপুর ও খলসী খালে ত্রুটিপুর্ন স্লুইসগেট নির্মানের ফলে ভারতের সাথে সীমান্ত নির্ধারণকারী ইছামতি নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বলে চাষীদের অভিযোগ।
রুদ্রপুর খালে দু’টি ও খলশী খালে একটি স্লুইসগেট রয়েছে। ত্রুটিপুর্ন থাকায় তা কাজে আসছে না। ফলে ঐ খাল দু’টি দিয়েই ভারতের পানি ঢুকে শার্শার বিস্তীর্ন অঞ্চল প্লাবিত করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শৌতম কুমার শীল জানান, ৫টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে ফসল লাগানো হয়েছে। এতে ভারতের উজানের পানিতে ২ হাজার ৯ শ’ ৭০ হেক্টর জমির ধানপাট তরিতরকারিসহ সবজী ফসল তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুটখালী ইউনিয়নে। এখানে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কায়বায় ৩৫০ হেক্টর, গোগায় ২২৫ হেক্টর, বাগআঁচড়ায় ২৫০ হেক্টর ও উলশীতে ১২৫ হেক্টর জমির ফসল ভারতের উজানের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, পানি এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, পানি আটকানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব, এতে কৃষি বিভাগের কোন হাত নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন, আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানদের মুখে শুনেছি ভারতের পানি রুদ্রপুর ও খলশী খাল দিয়ে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি এসিল্যান্ড ও ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে সাথে নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে পুটখালী ও বারোপোতার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেছি। এসময় পানির বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ৪টি জালপাটা অপসারণ করা হয়েছে এবং জালপাটা দিয়ে মাছ ধরায় ১ জনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইছামতি নদীর পানির সমস্যাটা আন্তর্জাতিক ব্যাপার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইচ্ছা করলে এর সমাধানের পথ খুজে বের করতে পারে।
কয়েকজন চাষী জানিয়েছেন, রুদ্রপুর ও খলশী খালে পাম্পসহ সয়ংক্রিয় গেট নির্মান করলে এর স্থায়ী সমাধান হবে এবং চাষীরা বারো মাস ঘরে ফসল তুলতে পারবেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)