রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দুই হাত নেই, তাতে কী? থেমে নেই লেখাপড়া

বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে দুহাত হারানো ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হোসেনের লেখাপড়া থেমে থাকেনি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে ডান পা দিয়ে লিখে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যাচ্ছে। বড় হয়ে সে চাকরি করতে চায়। এ ছাড়া কৃত্রিম দুটি হাত হলে সে তার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ নিজেই করতে পারবে এমন আশা ব্যক্ত করেছেন তার পিতামাতা।

জানা যায়, গত ২০১৫ সালে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য পাঠশালায় প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত মো. হোসেন (১৩)।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দোতলা নির্মাণাধীন ভবনে উঠে খেলাধুলা করার একপর্যায়ে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে অরক্ষিত বৈদ্যুতিক খুঁটির ১১ হাজার ভোল্টের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পর্শ হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তার জীবন রক্ষার্থে দুহাত হারাতে হয়। সে বর্তমানে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

দুহাত না থাকলেও থেমে নেই তার পড়ালেখা। তার জীবনের লক্ষ্য একটি চাকরি করা। হোসেন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চার্চ কলোনিতে বসবাসরত দরিদ্র কৃষক শাহাবউদ্দিন ও রহিমা বেগমের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সে।

হোসেনের মা রহিমা বেগম বলেন, প্রাইমারি স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করলে তাকে যখন হাইস্কুলে ভর্তি করাতে নিয়ে গেলাম। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসেনকে ভর্তি করতে চাননি। যার হাত নেই, সে লিখবে কীভাবে এই প্রশ্ন করে প্রধান। হোসেন পা দিয়ে লিখে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে অনুরোধ করলে পরে স্কুলে ভর্তি করান। আমার ছেলে হোসেন খুব মেধাবী এবং বর্তমানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী।

তিনি আরও জানান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণাধীন দোতলা ভবনের অরক্ষিত বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে দুহাত হারালেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজখবর নেয়নি এবং অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো অনুদান দেয়নি। হোসেনের দুর্ঘটনার পর ভবনের ছাদে ওঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

হোসেন জানায়, বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমি পড়াশোনা করতে পারছি।

হোসেনের বাবা শাহাবুউদ্দিন জানান, হোসেনের এ দুর্ঘটনায় আমার প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বর্তমানে আমি শূন্য, ওরা পাঁচ ভাইবোন অভাবের সংসারে ওদের পড়াশোনা করানোর খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে যদি কৃত্রিম হাত লাগানো যেত তা হলে প্রতিভাবান হোসেন ফিরে পেত আগের মতো স্বাভাবিক জীবন। অন্যদিকে সরকারের কাছে সহায়তার জন্য এমনটাই আশা করছে হোসেনের দরিদ্র পরিবার।

উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, হোসেন মেধাবী ও প্রতিভাবান। পা দিয়ে লিখলেও অনেকের চেয়ে হাতের লেখা সুন্দর। আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক হোসেনের প্রতি আন্তরিক।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জাকসুর ২৫টি পদের ২০টিই শিবিরের দখলে, অন্য দলের বিজয়ী হলেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষ হয়েছে। এরবিস্তারিত পড়ুন

জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) দশম ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্রবিস্তারিত পড়ুন

জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদে বিজয়ী হলেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতেবিস্তারিত পড়ুন

  • জাকসুর হল সংসদে ভিপি-জিএস হলেন যারা
  • রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ
  • দুর্গাপূজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ দিন, সরকারি চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিনের ছুটি
  • দেশে অন্তত ৩টি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু পরাজিতরা মেনে নেয়নি: আলী রীয়াজ
  • ‘সরকার-উপদেষ্টারা মাহফুজদের ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে’ : নাহিদ ইসলাম
  • পাঁচ বছরেই দেশকে সোনার খনিতে রূপান্তর করা সম্ভব: উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন
  • আ.লীগ নিষিদ্ধ হলেও তাদের ভোটের অধিকার নিষিদ্ধ নয়: উপদেষ্টা ফাওজুল
  • সপ্তাহে ২ দিন হাসপাতালে যেতে পারবেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা
  • নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে ড. ইউনূসের অভিনন্দন
  • পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  • ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব
  • সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরো বাড়লো