দেবহাটায় বিজিবি জমিতে বসতবাড়ি, বিকল্প উপায় খুঁজছে প্রশাসন
দেশী-বিদেশী শক্রদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নির্মান করা হচ্ছে দেবহাটা সদর বিজিবি ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রাচীর। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মাথায় নিয়ে শত্রæর আক্রমন থেকে দেশ রক্ষায় প্রথম কাজ করেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
দিনের পর দিন পরিবার পরিজন রেখে রিমোর্ট ও দূর্গত এলাকায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকনে এ বাহিনীর সদস্যরা। এই বাহিনীর সদস্যদের একই এলাকায় থাকতে পারেন না বেশি দিন। মাত্র কয়েক দিন বা মাসের জন্য দায়িত্ব পালন করেন সীমান্ত এ ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে। এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে আসার চেয়ে যাওয়া চিন্তা বেশি কাজ করে তাদের মধ্যে। আর এত কষ্টের মধ্যেও এই বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করা ক্যাম্পগুলো নদী বা জিরো বর্ডারে হওয়ায় তাদের জীবনযাত্রায় নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হয়। সেই সাথে ভয় থাকে দেশী-বিদেশী শক্রদের আক্রমণ।
সে কারনেই ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রাচীর নির্মানের বিষয়টি হাতে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা সদর বিজিবি ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি জমিতে তিনটি অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবার পূর্বে থেকে বসতবাড়ি তৈরী করে বসবাস করা আসছে। সাম্প্রতিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় বিজিবি ক্যাম্পের অধিনে পূর্বের সম্পত্তি অধিগ্রহন করে হস্তান্তর করেছে। সরকারি এ জমিতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সীমানা প্রাচীর করা হচ্ছে। দেবহাটা ক্যাম্পের ১.৩৯ একর জমির মধ্যে ৩টি পরিবারের বসতবাড়ি আছে। সরকারি জমি ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ওই বাড়ির সদস্যদের বিকল্প উপায়ে খাস জমিতে স্থানন্তর করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তার মধ্যে ওই পরিবারগুলো হতাশ হয়ে পড়েছেন। এমনকি এই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল লতিফ জানান, আমরা দেশমার্তৃকার জন্য কাজ করি। পরিবার পরিজন রেখে দেশকে রক্ষা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করি। প্রচীর নির্মান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বে বিজিবি ক্যাম্পের জমি ও দেবহাটা থানার জমি একই সাথে রেকার্ড অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জমি অধিগ্রহনের মাধ্যমে আলাদা ভাবে রেকার্ড করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে বিজিবির অধিগ্রহনকৃত জমিতে ৩টি পরিবার আগে থেকে বসবাস করছেন। বর্তমানে ক্যাম্পের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হচ্ছে। সে কারনে ওই পরিবারদের বিকল্প স্থানে নিজ উদ্যোগে তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। এমনকি তাদের নতুন ভাবে বসতবাড়ি নির্মানে বিজিবি অর্থিক সহযোগীতা করবে বলে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) দীপা রানী সরকার বলেন, সকল কাগজপত্রের আলোকে দেখা গেছে ওই জমি বিজিবি’র পক্ষে সরকার অধিগ্রহন করেছে। সুতরাং ওই জমি বিজিবির সম্পত্তি হওয়ায় দখলে রাখার সুযোগ নেই। যে ৩টি পরিবার বিজিবির অধিগ্রহনকৃত জমিতে বসবাস করছে তাদের জন্য বিকল্প সরকারি জমি খোঁজা হচ্ছে। সুবিধা মত খাস জমি পাওয়া গেলে সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)