দেশে সারের সংকট নেই, মজুতও আগের চেয়ে বেশি
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ মুহূর্তে দেশে সারের কোনো সংকট নেই। মজুতও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে কৃষিমন্ত্রী এ কথা জানান। কৃষিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে দীর্ঘক্ষণ পর্যালোচনা করেছি সার নিয়ে। আমাদের এ মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই। আমাদের প্রতি বছর ২৬ লাখ টন ইউরিয়া সার প্রয়োজন। টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ টন, ডিএপি সাড়ে ১৬ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন লাগে। আজ পর্যন্ত আমাদের মজুদে কোনো সমস্যা হয়নি। এ পর্যন্ত টিএসপি, এমওপি ও ডিএপির মজুত আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আছে। ইউরিয়া যেটুকু প্রয়োজন সেটাই আছে।
তিনি বলেন, সামনে কি হবে সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। গত বছর (২০২১ সালে) আমাদের যেটুকু চাহিদা ছিল সেটুকুই নির্ধারণ করেছি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি বছরই অর্থবছরের শেষে আমরা আগামী অর্থবছরের জন্য কি পরিমাণ সার প্রয়োজন সেটি নির্ধারণ করি। এ বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য এমন নীতি বা কৌশল নেবো, যাতে করে কৃষি উৎপাদন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। সার নিয়ে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সার না পেয়ে ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। তারা কোনো সাহায্য চায়নি, তারা শুধু ন্যায্য মূল্যে সার চেয়েছিলেন, এজন্য তাদের রক্ত দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে একটি হলো কৃষি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষির গুরুত্ব আগেও ছিল আগামীতেও থাকবে। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের জীবিকা কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। এজন্য সারের বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখি। প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশ দিয়েছেন, সার ব্যবস্থাপনায় যাতে কোনো সমস্যা না হয়। সার নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, কৃষির উৎপাদন আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, কোনোক্রমেই যেন আমরা বিদেশের ওপর নির্ভরশীল না হই।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী ও কমিটির সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)