বুধবার, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে সাবেক এমপি আরজু

পরিচয় গোপন করে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার ঘটনায় করা ধর্ষণ মামলায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন কারাগারে পাঠানোর।

এর আগে, মামলাটি দায়ের করা হয় গত বছর।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। পিবিআই তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ বুধবার পরোয়ানাসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

আসামি আরজু এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তখন তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিতে চাকরি করতেন। এ সময় বাসায় প্রায় নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন।

তখন তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে আবার বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে বাদীর চাচার মাধ্যমে আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আসামি নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে ও একপর্যায়ে সফল হয়।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, আসামি তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন; সামাজিক নির্ভরতা ও একাকিত্বের অবসান ঘটাতে তিনি নতুন সংসার শুরু করতে চান। পরে ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।

২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় উল্লেখ করে বাদী মামলায় বলেছেন, সন্তান গর্ভে আসার পর আসামি বিভিন্ন ‘ছলছাতুরির’ মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাদীর অনমনীয় মনোভাবের কারণে তা সম্ভব করতে পারেননি আসামি।

ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার ১৮ লাখ টাকা এবং ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে আসামিকে টাকা দেন উল্লেখ করে বাদী অভিযোগ করেছেন, আসামি সেই ফ্ল্যাট কিনে দেননি, টাকাও ফেরত দেননি। একপর্যায়ে বাদীর বাসায় আসা বন্ধ করে দেন আসামি।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন-আসামির প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। সেই ঘরে কন্যাসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আসামি। তাছাড়া বাদীর কাছে আসামি নিজেকে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করা হয়েছে অভিযোগ করে এতে বলা হয়, আসামি কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে আসামি বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে অস্বীকার করেন।

মামলার তদন্তে পরীক্ষা করা হয় বাদীর কন্যা সন্তানের ডিএনএ। তাতে কন্যাসন্তানটি বাদীর গর্ভজাত এবং আসামি আজিজুল হক আরজুর ঔরসজাত বলে প্রতিবেদন এসেছে বলে মামলার নথি থেকে জানা যায়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শেখ হাসিনা গু*ম ও হ*ত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশবিস্তারিত পড়ুন

অপকর্মকারীদের ঠাঁই বিএনপিতে নেই : সাতক্ষীরার কর্মশালায় তারেক রহমান

আবুল কাসেম ও গাজী হাবিব সাতক্ষীরা থেকে: অপকর্মকারী নেতা-কর্মীকে একচুল ছাড় দেয়াবিস্তারিত পড়ুন

৫ দাবি মেনে নিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

এক মাসের মধ্যে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন সাতবিস্তারিত পড়ুন

  • ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, সব দলের: তারেক রহমান
  • বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা আমিরাতের বড় দুই কোম্পানির
  • সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ হবে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  • নির্বাচনে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস ইইউর: সিইসি
  • সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার
  • মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা যাবেন, তারা সামনেও পরাজিত হতে বাধ্য : উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
  • সাত কলেজ নিয়ে নতুন একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা
  • নির্বাচন কবে হবে এটা ঐকমত্যের বিষয়: ইসি সানাউল্লাহ
  • রিজার্ভ চুরিকেও হার মানিয়েছে বেক্সিমকো: শ্রম উপদেষ্টা
  • বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার শুরু
  • সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
  • ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদির চিঠি