রবিবার, জুন ৮, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

পাকিস্তান তলাবিহীন ঝুড়ি, বাংলাদেশ এশিয়ার বাঘ: হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা

১৯৭১ সালে গোটা বিশ্ব বলতো পাকিস্তান পাওয়ারহাউজ, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। অথচ আজ ৫০ বছর পর পাকিস্তান তলাবিহীন ঝুড়ি এবং বাংলাদেশ এশিয়ান টাইগার (এশিয়ান টাইগার)।

জি২০ সমন্বয়ক এবং ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা এ মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত স্যামুয়েল রিচার্ডের লেখা ‘বাংলাদেশ: ফ্রম বাস্কেট কেস টু এশিয়ান টাইগার’ বইয়ের উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে।

উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নিয়ে শ্রিংলা বলেন, ভারত সবসময় একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশের উন্নতির চিত্র তুলে ধরে শ্রীংলা বলেন, পরিসংখ্যানই বাংলাদেশের গল্প বলছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি স্বাধীনতার সময় ছিল ১২৮ মার্কিন ডলার। দীর্ঘদিনের অস্থিরতা ও সামরিক শাসনের পর ২০০৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০৩ মার্কিন ডলার। আর বর্তমানে এটি ২৪৫২ মার্কিন ডলার। চরম দারিদ্রতা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। ১৯৭১ সালের ৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি এখন ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়ে বড়। দেশটির সামনে রয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার মর্যাদা।

বাংলাদেশের এই উত্থানের পেছনের কারণ হিসেবে তিনি ২০০৬ সালের পর অস্থিরতার অবসান, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্তহাতে শাসন এবং এর ফলে অর্থনৈতিক বাড়বাড়ন্তকে চিহ্নিত করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সূচকগুলোও মজবুত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রীংলা মনে করেন, বাংলাদেশের এমন উত্থানে ভারতও লাভবান হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা একটি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য অংশীদার। একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ভারতের জন্যও সুবিধাজনক। দুই দেশ বিদ্যুৎ এবং অবকাঠামোর মতো খাতে এক সঙ্গে কাজ করছে। কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের আগরতলা পর্যন্ত একটি সম্ভাব্য রেলসংযোগ দুই দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। বাংলাদেশ ভুটানের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারে এবং একটি সঞ্চালন লাইন গোটা অঞ্চল লাভবান হবে। এছাড়া নতুন সড়ক এবং রেল সংযোগ দুই দেশের জন্য লাভজনক।

আলোচনায় যোগ দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলির (আরআইএস) গবেষণা ও তথ্য ব্যবস্থার অধ্যাপক প্রবীর দে দুই দেশের যোগাযোগকে মজবুত সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে অভিহিত করেন।

আরেক প্যানেলিস্ট ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট রোহতকের পরিচালক অধ্যাপক ধীরজ শর্মা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সাফল্যের পেছনে প্রধান অনুঘটক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বকে উল্লেখ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কখনও তলাবিহীন ঝুড়ি ছিল না। এটি সে সময় মার্কিন সরকারের একটি ভুল ধারণা। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের দারিদ্রের হার কমছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শতভাগ স্বাক্ষরতা অর্জন করবে এবং একটি স্মার্ট সোসাইটে গড়ে উঠবে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জনতার হাতে আটক বিএসএফ সদস্যকে পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর সীমান্তে জনতার হাতে আটক হওয়া বিএসএফ সদস্য গনেশ মূর্তিকে পতাকাবিস্তারিত পড়ুন

আইপিএলে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে কে কত পেলেন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সদ্য শেষ হওয়া আসরে চ্যাম্পিয়ন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুবিস্তারিত পড়ুন

১ম শ্রেণি থেকেই সামরিক প্রশিক্ষণ চালু করছে ভারতের একটি রাজ্য

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রথম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ চালুরবিস্তারিত পড়ুন

  • ‘মোদি সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে’, শীর্ষ জেনারেলের বক্তব্য ঘিরে উত্তপ্ত নয়াদিল্লির রাজনীতি
  • বাংলাদেশ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য
  • পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করলো ভারত
  • জয়সওয়ালের মন্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের
  • সীমান্তে সব লাইট বন্ধ করে পুশইন চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি-জনতা
  • দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন চায় ভারত
  • ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
  • ওবায়দুল কাদের ৩ মাস দেশেই ছিলেন! সম্প্রতি দিলেন সাক্ষাতকার
  • আসামে বাংলাদেশি সন্দেহে ৫০ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার
  • বাংলাদেশি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞায় ভারতে ঈদ-পূজায় দাম বাড়ার শঙ্কা
  • ভারতের সঙ্গে জাহাজ নির্মাণ চুক্তি বাতিল করলো বাংলাদেশ
  • আমার শিরায় সিঁদুর টগবগ করে ফুটছে: মোদি