রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিচার কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পিলখানায় বর্বরোচিত হত্যার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, পিলখানায় বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ। শিগগিরই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে। যা কিছুই হোক দ্রুত বিচার কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আদালত স্বাধীন, তাই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। বিচারে কারও গাফিলতি নেই, সঠিকভাবে তদন্ত শেষ করতেই এই দীর্ঘসূত্রিতা।

নিহতদের অনেক স্বজন বৃদ্ধ হয়েছে, তারা আদৌ বিচার দেখে যেতে পারবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমিও সেটি বলি, যাই হোক দ্রুতই হোক। তবে কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আপনারা জানেন আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কারো গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির এই দিনে সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার।

তাদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনের ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি কোনো মামলার। দুটি মামলার মধ্যে হত্যা মামলার বিচার আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অপর মামলাটি এখনো বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের গণ্ডি পার হয়নি। হত্যা মামলার আপিল শুনানি কবে শুরু হবে, তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। ওই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা হয়, এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে আর বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে।

এই হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের এ মামলায় ২৭৭ জন আসামি খালাস পেয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যাদের উসকানিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ

গণ-অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ফলে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরেরবিস্তারিত পড়ুন

মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি

বাংলাদেশে ভ্রমণের আগে মার্কিন নাগরিকদের ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ICT কোচিংবিস্তারিত পড়ুন

আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবেবিস্তারিত পড়ুন

  • নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ
  • এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
  • ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
  • একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
  • আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
  • নির্বাচনের দেখা নেই, জনগণ সুখে নেই: ফারুক
  • ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহকদের জন্য বড় সুখবর
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক
  • ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের ঝটিকা মিছিল নিয়ে যা বললো ডিএমপি
  • পুরোনো শত্রু মিত্র হওয়ার অনেক উদাহরণ আছে : উপ-প্রেস সচিব
  • ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহবান ঢাকার
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র